বিতর্ক আমি চাই না, আমার সঙ্গে হয়ে যায় : সাকিব
কিছুদিন আগে নিজের ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট করে সাকিব আল হাসান লিখেছিলেন, ‘ইদানীং যা-ই খাচ্ছি সবই মজা লাগছে!’ মূলত একটি বিজ্ঞাপনের অংশ হিসেবেই ছিল সেই ছবিটি। তবে এর সঙ্গে মিল রেখে বলা যায়, ‘ইদানীং সাকিব যা-ই করছেন, সবই তুমুল আলোচিত হচ্ছে।’
অবশ্য শুধু আলোচনা বললে ভুল হবে, কখনও কখনও আলোচনার চেয়ে সমালোচনার মাত্রাটাই বেশি হয়ে যায় সাকিবের ক্ষেত্রে। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কা সফরের সময় ছুটি নিয়ে আইপিএল খেলতে যাওয়ার কারণে তুমুল সমালোচিত হয়েছেন সাকিব। পাশাপাশি তার ছুটি চাওয়ার বিষয়টি ঘিরেও সৃষ্টি হয়েছিল নানান বিতর্ক।
পরে এক লাইভ ইন্টারভিউয়ে পুরো বিষয়টা পরিষ্কার করেছেন সাকিব। তবে সাকিবকে ঘিরে বিতর্ক এবারই প্রথম নয়। ২০১৯ সালে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন রাখায় আইসিসির নিষেধাজ্ঞা, একইবছর জাতীয় ক্রিকেট দলের আনুষ্ঠানিক ফটো সেশনে অংশ না নেয়া কিংবা ২০২০ সালে কালিপূজার সময় ভারত ভ্রমণ নিয়েও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
সবমিলিয়ে বলা চলে, বিতর্ক কখনওই পিছু ছাড়ে না সাকিব আল হাসানের। কিন্তু এ বিষয়ে সাকিবের নিজের অভিমত কী? তিনি পুরো বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন? উত্তর জানা গেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে। যেখানে পরবর্তীতে আরও সতর্ক থাকার কথাও বলেছেন তিনি।
সাকিব বলেছেন, ‘আমি কখনও কোনো বিতর্কে জড়াতে চাই না, অন্তত ইচ্ছাকৃতভাবে তো নয়ই। তবে হ্যাঁ, এগুলো আমার সাথে হয়ে যায়। আমি জানি আমাকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। আসলে এখন এটা নিশ্চিত করা জরুরি যে আমি যেন আর কোনো বিতর্কে না জড়াই।’
সবশেষ আইপিএলের অনাপত্তিপত্র বিষয়ক ঘটনাটি অযথাই অনেক বড় হয়ে গেছে মনে করেন সাকিব। তবে শেষ পর্যন্ত সবকিছু ভালোভাবে হওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
সাকিবের ভাষ্য, ‘(অনাপত্তিপত্রের বিষয়) চাইলেই এটা এড়ানো যেত। তবে শেষ পর্যন্ত সবকিছু ভালোভাবেই হয়েছে। আমি বিসিবির কর্মকর্তা, বিশেষ করে প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানাতে চাই পুরো বিষয়টি ভালোভাবে সমাধান করায়।’
এসময় জাতীয় দলের সফর একপাশে রেখে আইপিএল খেলার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আইপিএলে খেলার পেছনে আমার একটা উদ্দেশ্য আছে। আমি মনে করি, সেটা পুরোটাই কাজে লাগাতে পারব। আমার বিশ্বাস, আমি আরও ভালো কিছু নিতে পারব যা আসন্ন বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকেই সাহায্য করবে।’