এইতো সেই দিন মাত্র শুরু, ১৫ বছরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা
সোমবার সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, কেক কাটা ও আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ১৬তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হয়।
১৫ শেষ করে ১৬ বছরে পদার্পণ করল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। আর তাই আনন্দে উচ্ছসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সোমবার সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, কেক কাটা ও আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ১৬তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হয়।দিবসটি ঘিরে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসিক ভবনের সামনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরীর নেতৃত্বে এক শোভাযাত্রার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপাচার্য। কেক কাটা শেষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলামের সঞ্চালনায় এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. শামিমুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আগামীতে আরও বড় পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করতে পারব।
‘আমরা যে ১৬ শ’ ৫৫ কোটি টাকার প্রক্ল্প হাতে পেয়েছি তা আজ স্বপ্ন নয় বাস্তব। আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। আমরা শীঘ্রই একটি চমৎকার পরিবেশ পাচ্ছি। কিন্তু এই চমৎকার পরিবেশ নষ্ট হতে বেশী সময় লাগবেনা। পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয় এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে যাতে কোন বাধা না আসে সেজন্য আমাদের সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হল মধ্যবিত্ত। এখানে শিক্ষার্থীরা ১২-১৪ টাকা দিয়ে পড়াশুনা করে। কিন্তু আমরা সরকারি অর্থ অপচয় করতে পারিনা। অপচয় করা একটা অপরাধ।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যতের জন্য সবাইকে এক হতে হবে। নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে তবে সেটা হবে পজেটিভ প্রতিযোগিতা। আর পজেটিভ থাকলে সবকিছু জয় করা সম্ভব হয়। আমরা সবাই একতাবদ্ধ হয়ে আমাদের যে অভাব রয়েছে তা আমরা পূরণ করতে পারব।’
ট্রেজারার ড. আবু তাহের বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোয় আলোকিত কুমিল্লাবাসী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যদের পাশাপাশি কুমিল্লাবাসী যখন এই বিশ্ববিদ্যালয়কে ধারণ করবে। ২৫০ একরের ক্যাম্পাস থেকে যারা গ্র্যাজুয়েট হবে তারা যেনো মানবজাতির কল্যাণে কাজ করে। এই জন্য আমাদের সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বর্তমানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক নয়ন তারা বলেন, ‘এইতো সেদিন ২০০৬ সালে শিক্ষার্থী হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া শুরু করেছি। আজ বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৫ পেরিয়ে ১৬ তে পদার্পণ করেছে। আমার ও আমার বন্ধুদের কাছে অন্য রকম লাগছে। এছাড়া এখন আমি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক। বিষয়টি আমার কাছে অত্যান্ত আনন্দের।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান, শাখা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
গত ২৮ মে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস থাকলেও কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ থাকায় ৩১ মে সীমিত পরিসরে এ দিবসটি উদযাপন করা হয়।