২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় চাঁদাবাজ চক্রের ১২ সদস্য গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিনিধি।।
র‍্যাব-১১ এর সিপিসি-২ কর্তৃক কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী এবং সদর দক্ষিন থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের ১২ সদস্য গ্রেফতার এবং চাঁদা আদায়ের নগদ ১৪,২০০/- টাকা উদ্ধার।

বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র‍্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র, মাদক উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর হত্যা এবং বিভিন্ন আলোচিত অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।

গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতারের মাধ্যমে র‍্যাব ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন থানার বিভিন্ন রাস্তায় অটো, সিএনজি, মিশুক, ট্রাক ও কভার্ড ভ্যান ইত্যাদি পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের নিকট হতে বলপূর্বক টাকা গ্রহণ করে আসছে।

এসব পরিবহন চাঁদাবাজরা সরকার নির্ধারিত স্ট্যান্ড ব্যতীত অননুমোদিত স্থান হতে এবং উপজেলা কর্তৃক ইজাড়াকৃত জায়গায় নির্ধারিত টাকার পরিমানের চাইতে বেশী টাকা জোরপূর্বক হাতিয়ে নিচ্ছে। পরিবহন চালকরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এসব চাঁদাবাজরা চালকদেরকে ভয়ভিতি প্রদর্শন করে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে শারীরিকভাবে আঘাত করে চাঁদা আদায় করে যা বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

বর্তমান সময়ে এসব চাঁদাবাজদের এহেন কর্মকান্ডে সাধারন জনগণ বিভিন্ন ধরনের হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছে। র‍্যাব- ১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা ক্যাম্পে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপজেলা এবং থানা হতে ভূক্তভোগীগণ এ ব্যাপারে মৌখিক এবং লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ প্রাপ্তির প্রেক্ষিতে র‍্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা একটা ছায়া তদন্ত করে মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান ও গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে পরিবহন চাঁদাবাজদের এহেন কর্মকান্ডের সত্যতা পায়।

এরই ফলশ্রুতিতে ২৯ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী এবং সদর দক্ষিন থানায় অভিযান পরিচালনা করে ১২ জন পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের স্বক্রিয় সদস্যকে ১৬৫টি টাকা আদায়ের রশিদ ও নগদ ১৪,২০০/- টাকাসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলোঃ মাসুদুর রহমান (৪০), পিতা-মৃত শফিকুল ইসলাম, সাং-কালির বাজার, যশপুর; রনি হাসান(২১), পিতা- জাহাংগীর আলম, সাং-বল্লভপুর পশ্চিম পাড়া, কালির বাজার; মোঃ জনি(২৪), পিতা-ৃমত আব্দুল কুদ্দুস, সাং-চকবাজার, ১৭নং ওয়ার্ড, পাতরিয়াপাড়া; প্রকাশ চন্দ্র দাস(২২), পিতা-সঞ্জয় চন্দ্র দাস, সাং-শুভপুর, ০৬নং ওয়ার্ড এবং মোঃ শুভ(২২), পিতা-জলিল মিয়া, সাং-কাশারি পট্টি, ১৫নং ওয়ার্ড, চকবাজার সর্ব থানা-কোতয়ালী, জেলা-কুমিল্লা; মোঃ দেলোয়ার হোসেন(৪০), পিতা-রওশন আলী, সাং-২য় মুরাদপুর, থানা-কোতয়ালী, জেলা-কুমিল্লা; মোঃ মিজান(২৪), পিতা-মোঃ আবুল হাসেম, সাং-গংগারচর, থানা-নাঙ্গলকোট, জেলা-কুমিল্লা; মোঃ জিহান(১৯); পিতা-কামাল হোসেন, সাং-আশ্রাফপুর, থানা-কচুয়া, জেলা-চাঁদপুর; মোঃ তানভীর(২০), পিতা-মৃত আযহার আলী, সাং-রাওনাইট, থানা-কাপাসিয়া, জেলা-গাজীপুর; মোঃ আকাশ(২০), পিতা-মৃত অহিদ মিয়া, সাং- কইলাইন, থানা-কচুয়া, জেলা-চাঁদপুর; মোঃ জুয়েল(২১), পিতা-ফয়সাল, সাং-রামপুর রাখালদীঘি, থানা-আওটারী, জেলা-পঞ্চগড়; এবং মোঃ সাকিব(১৯), পিতা-মোঃ জাহাঙ্গীর, সাং-নোয়াগাঁও, থানা-মনোহরগঞ্জ, জেলা-কুমিল্লা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা উপরে উল্লেখিত অভিযোগ সমূহের দায় স্বীকার করেছে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে র‍্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!