কুমিল্লায় যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
হোমনা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় পূর্বশত্রুতার জেরে এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
আসাদপুর ইউনিয়নের ঘনিয়ারচর গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ওই নেতাকে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত যুবলীগ কর্মী মো. সালাউদ্দিন জহির ঘনিয়ারচর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ৩ নম্বর ওয়ার্ড (ঘনিয়ারচর) যুবলীগের কর্মী ও একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল্লাহর ভাতিজা।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ। স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, ‘নিহতের স্বজনরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সন্ধ্যা নাগাদ মামলা শেষ হবে।
নিহতের বড় বোন পারুল আক্তার জানান, নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ায় জহিরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে এলাকার জালাল পাঠান, মুকবল পাঠান ও তাদের সমর্থকরা।
নিহতের চাচা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. শহিদুল্লাহ জানান, জহির নৌকার প্রার্থী মো. ছিদ্দিকুর রহমানের সমর্থক ছিল। এর জেরে বৃহস্পতিবার তেবাগিয়া-কলিগাছিয়া স্টিল ব্রিজের ওপর জহিরকে একা পেয়ে জালাল পাঠান ও মুকবল পাঠানের নেতৃত্বে রাসেল, বাছির, ইয়াসিন, বাবুল, ইকবাল, সেলিম,শামিম, শেখ ফরিদ, সাব্বিরসহ সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
তিনি বলেন, কুপিয়ে আহত করার পরও জহিরকে তারা উদ্ধার করতে দেয়নি। অনেক পরে রাতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জালাল পাঠান ও মকবুল পাঠানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন কল ও খুদেবার্তা পাঠালেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এর আগে ২০১০ সালে জালাল পাঠান ও তার ক্যাডার বাহিনীর বিরুদ্ধে একই কায়দায় যুবলীগ নেতা মোসলেমকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় আহত হয় ২ জন। মরদেহ থানায় আছে। আহতরা ময়নামতি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।