২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় বঙ্গবন্ধুর খুনির আত্মীয় পেলেন নৌকা প্রতীক

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি খন্দকার মুশতাকের আত্মীয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীক। কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ৬নং পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নে নৌকা পাওয়া ওই ব্যক্তির নাম খন্দকার সাইফুল্লাহ।

জানা যায়, খন্দকার সাইফুল্লার ছোট চাচা আবু জাফর খন্দকার বিয়ে করেন বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মুশতাকের আপন ভাগ্নী আমাতুল শারমিন খন্দকারকে।

এদিকে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি খন্দকার মুশতাকের আত্মীয় নৌকা প্রতীক পাওয়ায় পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ইউনিয়নের একাধিক নেতাকর্মী বলেন, খন্দকার সাইফুল্লাহ ও তার পরিবার জীবনভর বিএনপি ও জামাতের রাজনীতি করলো। এবার কীভাবে নৌকা পেলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।

তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, এই খন্দকার সাইফুল্লাহ আওয়ামী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, নেই কোনও সদস্যপদও। জীবনে কখনও জয় বাংলা স্লোগানও দেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খন্দকার সাইফুল্লাহ বলেন, অন্তত ৩০-৪০ বছর আগে তার চাচার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তারা বাড়িতেও থাকেন না। কোথায় আছেন তা-ও জানি না।

তিনি আরও বলেন,আমার বাবা আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। আমিও নিজেও আওয়ামী লীগ করি।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে, পেরুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান প্রথমে কোনও মন্তব্য করবেন না বলে জানান। পরে তিনি বলেন, এলাকায় গিয়ে খবর নিলে সব জানতে পারবেন।

লালমাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান ভূইয়া বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি। খোঁজ-খবর নিচ্ছি। বিষয়টা পরিষ্কার করতে পারবে প্রশাসন।

তিনি আরও বলেন, আমরা কখনই এমন কিছু মেনে নেবো না যা আমাদের দলীয় আদর্শকে কলঙ্কিত করে।’

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খন্দকার সাইফুল্লাহর বড় ভাই খন্দকার গোলাম মোর্শেদ বলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে পড়ার সময় আমার চাচা খন্দকার আবু জাফরের সঙ্গে খন্দকার মুশতাকের ভাগ্নির প্রেমের সম্পর্ক হয়।

পরে তারা বিয়ে করেন। পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নেয়নি। ৩০-৪০ বছর আগে তাদের ডিভোর্স হয়। তিনি অন্য এক জায়গায় বিয়ে করেন। আমাদের ওই পরিবারের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!