২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় স্কুলছাত্রকে হত্যা ও অপহরণের দায়ে তিন বন্ধুর আমৃত্যু কারাদণ্ড

কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় নবম শ্রেণির ছাত্র জাহিদ হাসানকে মুক্তিপণের দাবিতে হত্যার দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত খাইরুল ইসলাম।

হোমনা উপজেলায় নবম শ্রেণির ছাত্রকে মুক্তিপণের দাবিতে হত্যার দায়ে তিন যুবককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার একটি আদালত।

মঙ্গলবার দুপুর ২টায় কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৪ আদালতের বিচারক সেলিনা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান বাবুল ও মো. আবদুল্লাহ আল নোমান।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন উপজেলার ভিটিকালমিনা গ্রামের মো. জিহাদ হোসেন, একই গ্রামের এমদাদ হোসেন এবং পাশের মুরাদনগর উপজেলার দুলালপুর এলাকার বাসিন্দা মো. খাইরুল ইসলাম।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে খাইরুল উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুজন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক হন।

আইনজীবী কামরুজ্জামান বাবুল বলেন, হোমনা উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের সাপলেজি গ্রামের মো. আক্তারুজ্জামানের ছেলে ও দুলালপুর চন্দ্রমনি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র জাহিদ হাসানকে ২০১৭ সালের ৪ নভেম্বর কৌশলে অপরহরণ করে তারই তিন বন্ধু। খোঁজাখুঁজির পরদিন ৫ নভেম্বর জাহিদের পরিবার হোমনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।

অপহরণকারীরা ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় জাহিদের চাচা মাসুদ রানার মোবাইল ফোনে কল করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর মাসুদ রানা বিষয়টি জাহিদের পরিবারকে জানায়। পরিবার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে এবং ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানায়।মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওইদিন রাতেই জিহাদ হোসেন, এমদাদ ও খাইরুলকে আটক করে পুলিশ।

আইনজীবী আরও বলেন, তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুলালপুর চন্দ্রমনি উচ্চ বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে জাহিদের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করা হয়।

রায়ের পর নিহত জাহিদের বাবা মো:আক্তারুজ্জামান বলেন, “আমার ছেলেকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। আমি এই রায়ে সন্তুষ্ট নই। আমি তাদের মৃত্যুদণ্ড আশা করেছিলাম।”

আরো দেখুন
error: Content is protected !!