কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ায় ৪৪৫ মাদক ব্যবসায়ী গ্রে’প্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় গত দেড় বছরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩৫৭ টি অভিযান পরিচালনা করে ৪৪৫ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
এসব অভিযানে ৪ কোটি ৬৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩ শ টাকার বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এছাড়া আরও অন্যান্য অভিযানে ১লক্ষ ৭৮ হাজার ৮শ টাকা মূল্যের ভারতীয় আটাশ বাজিসহ বিভিন্ন চোরাই পণ্য আটক করা হয়।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, গত বছরের ১৩ মার্চ (২০২১) থেকে চলিত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর (২০২২) পর্যন্ত ১৮ মাসে ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে ৩৫৭টি মামলা দায়ের করেন। এসব মামলায় ৪৪৫ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া এসব অভিযানে ১৬৮৫ কেজি গাঁজা (যার বাজার মূল্য ৪কোটি ২১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা), ৮৮৫৬ টি ইয়াবা বড়ি ( যার বাজার মূল্য ২৬ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮শ টাকা), ৯৫৮ বোতল ফেনসিডিল সিরাপ (যার বাজার মূল্য ৯ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা), ৫০৬ বোতল স্ক্যাফ সিরাপ (যার বাজার মূল্য ২লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা), ৩০৩ বোতল বিদেশী মদ (যার বাজার মূল্য ৩ লক্ষ ৩ হাজার টাকা), সাড়ে ৭ লিটার চোলাই মদ (যার বাজার মূল্য সাড়ে ৭ হাজার টাকা) ও ৭৩ বোতল বিয়ার (যার বাজার মূল্য ৭৩ হাজার টাকা) জব্দ করা হয়।
এছাড়া থানা পুলিশের অন্যান্য অভিযানে ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮শ টাকা মূল্যের ভারতীয় বিভিন্ন বাজিসহ বিভিন্ন চোরাই পণ্য জব্দ করা হয়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, আমাদের সদস্য সাবেক জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার) মহোদয় মাদক ও চোরা চালানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ছিলেন।
তিনি কুমিল্লায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছিলেন। এছাড়া আমাদের বর্তমান জেলা পুলিশ সুপার সদ্য যোগদানকারী আবদুল মান্নান বিপিএম (বার) মহোদয় মাদক ও চোরাচালের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছেন।
স্যারদের নির্দেশে আমরা ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় মাদক ও চোরা চালানের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি।
ব্রাহ্মণপাড়া থানায় আমি যোগদানের পর থেকে গত দেড় বছর যাবত ৩৫৭ টি অভিযান পরিচালনা করেছি।
এসব অভিযানে ৪৪৫ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারসহ ৪ কোটি ৬৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩ শ টাকার বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ করেছি।
এছাড়া আরও অন্যান্য অভিযানে ১লক্ষ ৭৮ হাজার ৮শ টাকা মূল্যের ভারতীয় আটাশ বাজিসহ বিভিন্ন চোরাই পণ্য আটক করতে আমরা সক্ষম হই। মাদক ও চোরা চালানের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।