২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লা রেল স্টেশনে কারিগরি সমস্যার কারণে পণ্য রফতানি বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কারিগরি সমস্যার কারণে কুমিল্লা রেল স্টেশন থেকে ঢাকা ও সিলেটমুখী ট্রেনে ভারী পন্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে।

বৃহত্তর ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মনবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মালামাল পরিবহন বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

জানা গেছে, কুমিল্লা স্টেশনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী ট্রেনগুলো এক নম্বর প্লাটফর্মে ক্রসওভার পয়েন্ট না থাকায় এই সমস্যা তৈরী হয়েছে।

শুধু মাত্র ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহার করে কিংবা কুলিদের মাধ্যমে যেসব পণ্য দুই নম্বর প্লাটফর্মে নেয়া যায় সেগুলোই শুধু পরিবহনের জন্য পাঠানো হচ্ছে।

এমন প্রতিবন্ধকতার কারণে ভারী পণ্য পরিবহনের জন্য বুকিংও নিতে পারছে না স্টেশন কর্তৃপক্ষ। লাকসাম-আখাউড়া ডাবল লাইন প্রকল্পের কাজ শুরু হবার পর থেকেই এই সমস্যা তৈরী হয়।

এঅবস্থা দীর্ঘ দিন ধরে চলমান থাকলেও সমস্যা সমাধানে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে না। এতে মালামাল পাঠাতে না পেরে শত শত ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে।

কুমিল্লা রেলওয়ে ষ্টেশন সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লা একটি গুরুত্বপুর্ণ স্থান। এখানে রয়েছে প্রায় তিন শতাব্দীর ছোঁয়া লাগা রেলওয়ে ষ্টেশন। প্রতিদিন এই ষ্টেশন দিয়ে বিগত সময়ে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও বৃহত্তর সিলেট, ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, আখাউড়া, ভৈরববাজার ,আশুগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, আঠারো বাড়ী,শায়েস্তাগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়াসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীসহ লোকজন মালামাল পরিবহন করে আসছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় প্রধান ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লার লাকসাম জংশন ষ্টেশন থেকে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আখাউড়া জংশন পর্যন্ত রেলপথের অংশে ডাবল লাইন নির্মানের কাজ চলছে।

এজন্য লাকসাম-আখাউড়ার মধ্যবর্তী ১২ টি রেলওয়ে ষ্টেশন আধুনিকায়নসহ পুরো রেলপথের সংস্কার করা হয়।

কিন্তু বিগত সময়ের আদলে বর্তমানে ক্রস ওভারপয়েন্ট না থাকায় বর্তমানে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলো কুমিল্লা রেলওয়ে ষ্টেশনের এক নং প্লাটফরমে প্রবেশ না করে ২ নং প্লাটফরম সংলগ্ন ৪ ও ৫ নং রেলপথে প্রবেশ করছে প্রতিদিন।

এদিকে রেলওয়ে ষ্টেশনে প্রবেশ করে ১ নং প্লাটফরম হয়ে ২ নং প্লাটফরমে সরাসরি মালামাল বহন করার স্বাভাবিক কোন ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন শত শত ব্যবসায়ীসহ সাধারন মানুষ রেল যোগে উর্ধ্বমুখী অর্থাৎ উপরোল্লোখিত রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে মালামাল পরিবহন করতে পারছে না।

একাধিক ব্যবসায়ী ও যাত্রী জানান, এই ষ্টেশনের এক নং প্লাট ফরম থেকে ২ নং প্লাটফরম যেতে একটি ফুট ওভারপাস থাকলেও সেটা বেশ উচুঁ।

তাছাড়া ভারী মালামালসহ মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, সিএনজি অটোরিক্সা, পাওয়ার টিলার, ছোট ট্রাক্টও, রিক্সা, কৃষি যন্ত্রপাতি, ভারী লৌহজাত দ্রব্য, বিভিন্ন কৃষি পন্য ২ নং প্লাটফরমে নেওয়া অনেক কষ্ট সাধ্য।

এঅবস্থায় লোকজন পন্য পরিবহনে আসলেও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের যাবতীয় সুবিধা না থাকায় তারা সেটা করতে পারছে না। যার ফলে প্রতি মাসে বিপুল অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!