২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝগড়ার পর গৃহবধূ ঘরছাড়া, শিমবাগানে সন্তান প্রসব

অনলাইন ডেস্ক।।
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার হরিশ চন্দ্রের (৩৭) সঙ্গে তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী পানোবালা রায়ের (৩৩) ঝগড়া হয়। অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে বের হয়ে যান পানোবালা। দুই কিলোমিটার দূরে একটি শিমবাগানে আশ্রয় নেন তিনি।

এ সময় প্রচণ্ড প্রসব বেদনায় চিৎকার করতে থাকে সন্তানসম্ভবা মা। তার চিৎকারে পাশের মাঠ থেকে লোকজন ছুটে এসে দেখেন, সন্তান প্রসব করেছেন পানোবালা।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের আমরুলবাড়ি বটতলী গ্রামের বাদিয়ারকুড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পানোবালার স্বামীর বাড়ি একই ইউনিয়নের হিন্দুপাড়া গ্রামে।

বটতলী গ্রামের আবদুল হাকিম বলেন, ‘সকালে এক নারীকে আল ধরে হেঁটে চিকলি নদের ধারের শিমবাগানের ভেতরে ঢুকতে দেখি। কিছুক্ষণ পর ওই বাগানের ভেতর থেকে চিৎকার শুনতে পাই। এরপর পাশের মাঠে কাজ করা দুই শ্রমিককে সঙ্গে নিয়ে বাগানের ভেতরে গিয়ে দেখি, ওই নারী ছেলেসন্তান প্রসব করেছেন।

এ সময় পাশের গ্রামে খবর দিলে মোহসিনা বেগমসহ দুই–তিনজন নারী ছুটে এসে তাকে সহযোগিতা করেন। পরে আমরা হিন্দুপাড়া গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে খবর দেই। বিষয়টি লোকমুখে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পর উৎসুক লোকজন মা ও নবজাতককে দেখতে নদের ধারে ভিড় জমান। বেলা একটার দিকে ওই নারীর স্বামী এসে তার স্ত্রী ও নবজাতককে বাড়িতে নিয়ে যান।’

পানোবালার ধাত্রী হয়েছেন মোহসিনা বেগম নামে এক নারী। তিনি ঘটনা শোনামাত্রই ব্লেড নিয়ে দৌড়ে যান। মোহসিনা বেগম বলেন, ‘ঘটনা শুনে একটি ব্লেড নিয়ে ছুটে যাই ওই শিমবাগানে। ততক্ষণে পানোবালা সেখানে সন্তান প্রসব করেছেন। পরে সাহস নিয়ে ব্লেড দিয়ে ওই নবজাতক সন্তানের নাড়ি কেটে দিই।’

পানোবালার স্বামী হরিশ চন্দ্র বলেন, ‘জমি থেকে আলু তোলা নিয়ে শনিবার সকালে পানোবালার সঙ্গে আমার সামান্য কথা–কাটাকাটি হয়।

এরপর আমি কাজে চলে যাই। সে অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে। দুপুরের পর লোকমুখে খবর পেয়ে ওই শিমবাগানে ছুটে গিয়ে স্ত্রী–সন্তানকে বাড়িতে নিয়ে এসেছি।’

পানোবালা বলেন, ‘মাথা ঠিক ছিল না। রাগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। নদের ধারের নির্জন ওই শিমবাগানের ভেতরে ঢোকার পরই পেটে ব্যথা শুরু হয়।’

আরো দেখুন
error: Content is protected !!