ঝোপঝাড়ে নান্দনিক বাগান-কুমিল্লার ডিসির
মহানগর ডেস্ক।।
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান প্রায় একশ শতক পতিত জমিতে এই বাগান গড়ে তুলেছেন।
তার বাগানে আছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ধনেপাতা, মরিচ, শিমসহ হরেক রকম শীতকালীন সবজি। আছে আম, জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা, জামরুল, আনারস ও সফেদার গাছ। এ ছাড়া ভেষজ উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে হরিতকি, বাসক, বহেরা ও অর্জুন।
বেশ কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান নিজেও সবজি ও ফলবাগান পরিচর্যা করেন নিয়মিত।
ডিসি বলেন, ‘আমি ছোট বেলা থেকেই সবজি বাগান করতাম। যখন সহকারী কমিশনার ভূমি হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করি তখন সবজি বাগান করা আমার নেশা হয়ে দাঁড়ায়। ওই সময় আমি ছাদ বাগান গড়ি।’
‘বিশেষ করে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আমি প্রচুর সবজি বাগান করি। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝে আমি আমার বাগানে উৎপাদিত সবজি বিতরণ করে থাকি।’
তিনি আরও বলেন, আমার বাগানে সূর্যমুখী, গাঁদা, গোলাপসহ নানা প্রজাতির ফুলের গাছ রয়েছে। কিছুদিন পর বাগান থেকে সবজি ও বিভিন্ন ফল পাওয়া যাবে। পরিকল্পনা আছে বাগানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসব। তাদের মাঝে সবজি ও ফল বিতরণ করব। যেন শিক্ষার্থীরা বাগান করতে উদ্বুদ্ধ হয়।
বাগান করার ক্ষেত্রে স্ত্রীর অনুপ্রেরণা রয়েছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, ‘আমার স্ত্রী উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। বাগান করার ক্ষেত্রে তার অনুপ্রেরণা আমাকে উৎসাহিত করে।’
বাগানের বড় গাছগুলোতে পাখিদের জন্য গাছে টানিয়েছেন মাটির কলস। যেখানে পাখি এসে আবাস গড়েছে।