২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেফতার ১০

নিউজ ডেস্ক।।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি প্রস্তুতির সময় ১০ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দিনগত রাত সোয়া ১২টার দিকে ফৌজদারহাট কালুশাহ মাজার সংলগ্ন মহাসড়কের কাছ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়।

শনিবার (৮ এপ্রিল) রাত সোয়া ৮টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব-৭।

গ্রেফতাররা হলেন- চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাণীগ্রামের মৃত ওসমান আলীর ছেলে নুরে আলম ওরফে নুরু (২৬), বাহারছড়া ইউনিয়নের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে মো. মামুন (২২), আনোয়ারার মধ্যম-বারখাইন গ্রামের শীতল মজুমদারের ছেলে রিমন মজুমদার (২২), সীতাকুণ্ডের পাক্কারমাথা গ্রামের নুরন্নবীর ছেলে মোর্শেদ খান ওরফে হৃদয় (২৪), নগরীর বন্দর থানাধীন আনন্দবাজার এলাকার মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. বাদশা (২৮), কলশি বড়পুল এলাকার মো. লোকমানের ছেলে মো. রাকিব (২৬), হালিশহরের সুন্দরীপাড়া গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে মো. শামীম (২৬), নোয়াখালীর সুধারামের উত্তর মাছিমপুর গ্রামের আবদুল আলীর ছেলে মো. হায়দার আলী (২৬), চাটখালীর বাংশা গ্রামের মো. ইব্রাহিমের ছেলে মো. শাহাদৎ (২৫) ও বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের সন্ন্যাসী গ্রামের মো. শমসের আলমের ছেলে মো. রবিউল ওরফে রুবেল (২৪)।

র‌্যাব-৭-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ১০ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ডাকাত দলের বেশিরভাগ সদস্যই চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। তারা জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় ডাকাতি করতে জড়ো হয়েছিলেন। গ্রেফতাররা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি করার জন্য কালু শাহ মাজার সার্কেলের অবস্থান করছিলেন।

ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখী সাধারণ মানুষের চলাচলের স্থানে পথচারীকে আটকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের জিম্মি করে মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয় এ চক্রটি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ কথা স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, গ্রেফতার ডাকাত দলের সদস্যরা প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ধরনের যানবাহন থামিয়ে ডাকাতি করার পরিকল্পনা করছিল।

জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাত দলের নেতা জানিয়েছে, রমজান ও ঈদ উপলক্ষে সাধারণ মানুষ প্রায়ই মোটা অংকের টাকা নিয়ে চলাচল করে। বিশেষ করে যারা ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত করেন, তাদের টার্গেট করে তারা ডাকাতি করার জন্য একত্রিত হয়েছিলেন। গ্রেফতারদের মধ্যে চারজনের নামে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!