পাখির জন্য নলকূপ ছাড়ল কৃষক পরিবার
নিজস্ব প্রতিনিধি
‘এক মাস আগে দেখি একজোড়া দোয়েল পাখি বাসা তৈরির জন্য খড়কুটো নিয়ে এসেছে। নলকূপের ভেতরে ছোট্ট বাসা তৈরি করছে। তখন নলকূপ ব্যবহার বন্ধ করেছি। কিছুদিনের মধ্যে তিনটি ডিম দেয় স্ত্রী দোয়েল। কয়েকদিন আগে ডিম ফুটে ছানা বের হয়েছে। তাদের কিচিরমিচির খুবই ভালো লাগে।’নলকূপের ভেতরে বাসা বেঁধেছে এক জোড়া দোয়েল। সেই দোয়েল দম্পতির সংসারে এসেছে তিনটি ছানা। মানুষের ভয়ডর উপেক্ষা করে ছানার যত্নআত্তিতে ব্যস্ত সময় পার করছে দোয়েল দম্পতি।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ভূবনঘর গ্রাম। ওই গ্রামের মানিক মাস্টারের বাড়ির নলকূপে দোয়েল দম্পতির সংসার।
বাড়ির মালিক আবুল হাশেম জানান, মোটর দিয়ে পানি তুলে বাসাবাড়ির প্রয়োজন মেটানো হয়। তবুও জরুরি প্রয়োজনে পানি তোলার জন্য বাড়ির পাশে বসানো হয় নলকূপ।
মাঝেমধ্যে ব্যবহার করা হতো ওই নলকূপ। আর এরই সুযোগ নিয়েছে একজোড়া দোয়েল।
আবুল হাশেম বলেন, ‘এক মাস আগে দেখি একজোড়া দোয়েল পাখি বাসা তৈরির জন্য খড়কুটো নিয়ে এসেছে। নলকূপের ভেতরে ছোট্ট বাসা তৈরি করছে। তখন নলকূপ ব্যবহার বন্ধ করেছি। কিছুদিনের মধ্যে তিনটি ডিম দেয় স্ত্রী দোয়েল। কয়েকদিন আগে ডিম ফুটে ছানা বের হয়েছে। তাদের কিচিরমিচির খুবই ভালো লাগে।’আবুল হাশেম জানান, কেউ যাতে দোয়েল পাখি ও ছানাদের বিরক্ত করতে না পারে সে জন্য পরিবারের সদস্যরা সতর্ক থাকে। ছানাগুলো বড় হয়ে উড়ে যাওয়া পর্যন্ত তারা সতর্ক থাকবেন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক রইস উদ্দিন জানান, জনবসতির পাশে নিরাপদ জায়গায় গাছের ডালে, গাছের কোটরে বাসা বাঁধে দোয়েল পাখি। নিরাপদ মনে করেই ভুবনঘরের ওই নলকূপে দোয়েল দম্পতি বাসা তৈরি করেছে। এখন ওই বাড়ির সদস্যরা পাখিগুলোর জন্য নিরাপদ পরিবেশ অব্যহত রাখলেই ভালো হবে।