২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল মতিন মাস্টার এর স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন মাস্টারের স্মৃতি স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল ১আগষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল মতিন মাস্টার স্মৃৃতি সংসদের আয়োজনে চৌয়ারা আদর্শ কলেজ মিলনায়তনে সকাল ১১টায় এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু নোমান খন্দকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত।

প্রধান বক্তা ছিলেন কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক কাজী আবুল বাশার, বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক এটিএম ইউনুছ, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর দক্ষিন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু, কুমিল্লা জেলা যুবলীগ সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, চৌয়ারা ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও কুমিল্লা জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এ এইচ এম সহিদুল্লাহ, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মো: মোস্তফা মজুমদার বাচ্চু, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসান, ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সাত্তার।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহাম্মদ।

অনুষ্ঠানে শহীদের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন নিয়ে স্মৃৃতিচারণ করেন শহীদ আব্দুল মতিন মাস্টারের বড় ছেলে ইউরোপ আওয়ামীলীগগ নেতা মোহাম্মদ আবুল বাশার বাহার, কোরআন তেলাওয়াত করেন মরহুমের নাতি রাফিও মোহাম্মদ বাহার।

মহান মুক্তিযোদ্ধে আত্মত্যাগকারী সকল শহীদদের স্মরণে ১মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অতিথিরা বলেন, ৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় পাক বাহিনী আব্দুল মতিন মাস্টারকে বাড়ী থেকে ধরে নিয়ে বর্তমান চৌয়ারা কলেজ প্রাঙ্গনে নির্মমভাবে হত্যা করে।

শুধু তাই নয় তাকে দাফনবিহীন মাটির নিচে পুতে রাখে। শহীদের বাড়ী ঘর সবকিছু লোটপাট করে জালিয়ে দেয়। এসময় মিলনায়তনে শোকের ছায়া নেমে আসে। উপস্থিত বক্তাগন শহীদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য প্রধান অতিথির নিকট বিভিন্ন দাবী উত্থাপন করেন।

পরিশেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, আমার প্রথম উন্নয়নমূলক কাজে শহীদদের জন্য কিছু করতে পারলে আমি গর্বিত হব।

তাই শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন মাস্টার স্মরণে চৌয়ারা কলেজ অঙ্গনে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে একটি নান্দনিক স্মৃতিফলক করে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে কাজ করতে চাই। তবেই সকল শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।

তাছাড়াও সিটিকর্পোরেশনের আওতাধীন বিমানবন্দর সড়কটি শহীদ আব্দুল মতিন মাস্টারের নামে পুনরায় নামকরণ করা হবে।

কলেজ কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে আয়োজনে সহযোগীতা করায় অনুষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!