কবিতা -“ক্ষত-বিক্ষত যমুনা”
“ক্ষত-বিক্ষত যমুনা”
মোঃ রমজান আলী খান,
আরিচা নগর বাড়ি লঞ্চ ফেরিঘাট,
দিবানিশি মনে হতো লেগে আছে হাট।
লক্ষ লক্ষ বাস ট্রাক ফেরিতে করতো পার,
ফেরি দেখে মনে হতো যমুনার গলার হাড়।
মাথা ভাঙ্গা ঢেউ এসে ফেরিতে দিত দোল,
কি যে ভালো লাগতো মাঝির হেঁইও হেঁইও বোল।
ছোট বড় নৌকা লঞ্চ যমুনার গলার মালা,
মধুর সাজে সাজতো যমুনা সকাল সন্ধ্যা বেলা।
সেই অপরূপ দৃশ্য এখন দেখতে নাহি পাই,
বালুর চরে ভরেছে নদীর গভীরতা নাই।
শাহ জালাল,আমানত শাহ, শাহ পরাণ ফেরি,
বীর শ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর আর আসে না নগর বাড়ি।
সিরাজগঞ্জে সেতু হয়েছে যমুনায় পরেছে চর,
বালুর চরে গড়ে উঠেছে শত-শত বাড়ি-ঘর।
বহির্বিশ্বের চক্রান্ত বাংলার নদী হোক শেষ,মরুভূমি হয়ে যাক সোনার বাংলাদেশ।
নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে, বাঁচবে বাংলা বাশি,
নদী মাতৃক দেশ আমাদের এখানেই বেঁচে আছি।
নদী বাঁচাও দেশ বাঁচাও, এসো দেই শ্লোগান,
দেশবাসী রক্ষা কর সোনার বাংলার মান।
সিন্দুরী বরুরিয়া, সাগরকান্দি,
আমিনপুর, সুজানগর, পাবনা।