কুমিল্লায় সালিসে দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে যুবক খুন
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে বাবুল মিয়া (২৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উপজেলার খিলা ইউনিয়নের সাতেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বাবুল মিয়া সাতেশ্বর গ্রামের সোলেমান মিয়ার ছেলে। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন।
মনোহরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, রোববার সকালে সাতেশ্বর গ্রামের নড়াই বাড়ির পাশ দিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রিমন হৃদয়।
এসময় একাধিক শিশুর গায়ে অটোরিকশার ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে অটোরিকশাচালকের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি সমাধানের জন্য সন্ধ্যার পর সাতেশ্বর পূর্বপাড়ার একটি দোকানের সামনে সালিশ বৈঠকে বসে দুই পক্ষ।
এসময় ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল মতিন, ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি এমরান হোসেনসহ গ্রামের গণ্যমান্যরা দুই পক্ষকে মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অটোরিকশাচালক হৃদয়সহ তার পক্ষে থাকা সুমন, রুবেল, অন্তর, রিপন, আবদুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন এ সিদ্ধান্ত মেনে নেননি।
এসময় তারা অপর পক্ষের ওপর হামলা করলে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে বাবুলসহ স্থানীয় লোকজন তাদের থামাতে গেলে হৃদয়সহ তার লোকজন চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন।
এ সময় বাবুলের পায়ে, পিঠে ও হাত কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লাকসাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আহত দুলাল মিয়া, আবদুল মান্নান, মনির হোসেন, যুবদল নেতা এমরান হোসেনসহ পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে রাতেই নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।