শান্তিরক্ষীরা বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে: প্রধানমন্ত্রী
ওয়েব ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আজ সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশসমূহের অন্যতম বাংলাদেশ। জাতিসংঘ মিশন এবং বহুজাতিক বাহিনীতে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের অনন্য অবদান বিশ্বের দরবারে দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে এবং এদেশকে বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদা সম্পন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। একই সঙ্গে বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে শক্তিশালী দেশসমূহের সঙ্গে আমাদের দেশের পারষ্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
শনিবার (২৯ মে) ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২১’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ করোনা-মহামারির মধ্যেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তি স্থাপনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীগণ পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে ঐ সকল দেশের জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন।’
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২১’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত উল্লেখ করে বলেন, এ বছরের আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘স্থায়ী শান্তির পথ: শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য তারুণ্যের শক্তি ব্যবহার’ সময়োপযোগী হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি নিহত শান্তিরক্ষীদের যারা বিশ্বশান্তির জন্য অকাতরে জীবন বিসর্জন দিয়ে বিশ্বদরবারে দেশের পতাকাকে সমুন্নত করেছেন। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা যাতে আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিতে পারেন, সে জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের সকল প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, শান্তিরক্ষী সদস্যগণ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে তাদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব, সাহস ও নিষ্ঠাদ্বারা বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি শক্তিশালী শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন এবং সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করবেন।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে এবং ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলায় প্রদত্ত তার ঐতিহাসিক ভাষণে বিশ্বের সর্বত্র শান্তিপ্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন’।
তিনি বলেন, তখন থেকেই বাংলাদেশ বিশ্বের শান্তিপ্রিয় ও বন্ধুপ্রতীম সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলছে এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের অধীনে পরিচালিত সকল শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে।
প্রধানমন্ত্রী ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২১’ এর সার্বিক সাফল্য এবং সকল শান্তিরক্ষীর সাফল্য ও মঙ্গল কামনা করেন।