২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৪ দিনের শিশুকে ফেলে গেলেন মা-বাবা

👁️নিউজ ডেস্ক ✒️
জন্মের ১৪ দিনের মধ্যেই শিশুকে ফেলে চলে গেলেন মা-বাবা। চিকিৎসার নামে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে পরে বন্ধ করে দেন যোগাযোগ। এমন অমানবিক ও হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম মেডিকেলের (চমেক) শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে। শিশুটিকে লালন-পালন করছেন নার্স ও চিকিৎসকরা। তার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিয়েছে রোগী কল্যাণ সমিতি।

শিশুর সবচেয়ে ভরসা ও নিরাপদ স্থান মা-বাবা। অথচ সেই মা-বাবাই ফেলে চলে যান ফুটফুটে নবজাতক শিশুকন্যাকে। পৃথিবীর আলো দেখার পর মা-বাবার স্নেহ আর মায়া-মমতা থেকে বঞ্চিত হলো ১৪ দিনের নবজাতক ঝর্ণা।

মাঝে মাঝে কেঁদে উঠছে শিশুটি। গত ১৮ জুলাই দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেলের শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে নবজাতকটিকে খাগড়াছড়ির ঠিকানায় ভর্তি করান বাবা জসিম উদ্দিন।

শিশুটির হাত ও পায়ে জন্মগত ক্রুটি থাকায় লাপাত্তা হয়ে যান মা-বাবা। তবে মা-বাবার যত্নে আগলে রেখে শিশুটিকে লালন-পালন করছেন নার্স আর চিকিৎসকরা।

সিনিয়র স্টাফ নার্স তাহমিনা আক্তার বলেন, আমাদের যতজন সহকর্মী আছেন, সবাই পরম যত্নে শিশুটিকে আগলে রাখছেন।

শিশু সার্জারি বিভাগের ওয়ার্ড ইনচার্জ শাহিন সোলতানা বলেন, এটা অন্য রোগী বা অন্য কারো শিশু, সেটা আমরা চিন্তা করছি না। আমরা আমাদের বাচ্চার মতোই লালন পালন করছি।

চিকিৎসকরা জানান, শিশুকন্যা ঝর্ণা এখন পুরোপুরি সুস্থ। তবে হাত এবং পায়ে জটিলতা থাকলেও সার্জারি করে তা দূর করা সম্ভব। চমেক হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. তানজিল ফরহাদ বলেন, শিশুটির প্রাণঘাতী কোনো সমস্যা নেই। বাচ্চাটা সুস্থ আছে। সার্জারির বিষয়ে ঈদের পরেই আমরা একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাব।

এদিকে শিশুটির চিকিৎসা ও ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতাধীন হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ শাহা বলেন, তার যে সমস্যাগুলো আছে, তা যদি নিরাময়যোগ্য হয়, তবে শিশুটির চিকিৎসা শুরু করে দেওয়ার জন্য আমরা হাসপাতালের ডাক্তারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। এটার জন্য যা খরচ হবে, তা আমরা বহন করব।

শিশুটিকে দত্তক নিতে ইতোমধ্যে অনেকেই চট্টগ্রাম মেডিকেলে আবেদন করেছেন।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!