কুলাউড়ায় অস্ত্রসহ ৭ ডাকাত গ্রেফতার
মহানগর নিউজ ডেস্ক: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় একটি ডাকাতির ঘটনায় দেশীয় তৈরি ১টি পাইপগান ও ৬ রাউন্ড কার্তুজসহ ৭ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের ৭ জনের নামে বিভিন্নস্থানে ২৯ টি ডাকাতি মামলা রয়েছে।
এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা রয়েছে আব্দুল মজিদ ওরফে পিচ্চি মজিদ ওরফে শফিক মিয়া (৩৮) নামে। তার নামে ৯ টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। সে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার দক্ষিণ পাবই এলাকার মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে।
এছাড়া অন্যান্য ডাকাতদের মধ্যে- মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মৃত বশির মিয়ার ছেলে আব্দুস সাত্তার রাজুর (২৯) নামে ৪ টি ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা, কুলাউড়ার মাগুরা এলাকার মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে আল আমিনের (২৫) নামে ৪ টি ডাকাতি মামলা, কুলাউড়ার বিলের পাড়ের মৃত ইসমাইল আলীর ছেলে সালাহ উদ্দিনের (২৯) নামে ৩ টি মামলা, রাজনগরের সালন এলাকার তরিক মিয়ার ছেলে মিলাদ মিয়ার (৩০) নামে ৬টি ডাকাতি মামলা, কমলগঞ্জের শ্রীমতপুর এলাকার মৃত বশির মিয়ার ছেলে হারুন মিয়ার (৩২) নামে ২ টি ডাকাতির মামলা রয়েছে।
তবে রাজনগরের মশাজান এলাকার মৃত রজিব উল্লার ছেলে ইলিয়াস মিয়ার (৪৮) নামে আগের কোন মামলা নেই। বর্তমানে যে মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে সেই মামলাই শুধু তার নামে রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ১৬ জুলাই রাত ২ টার দিকে কুলাউড়ার ৯ নম্বর টিলাগাঁও ইউনিয়নের আশ্রয়গ্রাম এলাকার মো. ইকরাম আলীর বসতঘরে অজ্ঞাতনামা ৮/৯ জন ডাকাত কলাপসিবল গেইটের তালা এবং দরজার লক ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। এরপর বাড়ির লোকজনদের দেশীয় অস্ত্র রামদা, ছুরি, লোহার শাবল, তালা কাটার যন্ত্র ইত্যাদি দ্বারা জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থসহ সর্বমোট ১১ লাখ ৫৬ হাজার ৬০০ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় কুলাউড়া থানার ১৭ জুলাই মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশ জানায়, মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ অভিযান শুরু করে। একে একে ৬ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরমধ্যে গ্রেপ্তারকৃত আসামি মিলাদ মিয়ার (৩০) দেয়া তথ্য মতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টায় কুলাউড়ার ৯ নম্বর টিলাগাঁও ইউনিয়নের শালন বাঘেরটিকি এলাকা একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান এবং ৬ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আসামি মিলাদ মিয়ার বিরুদ্ধে কুলাউড়া থানার মামলা দায়ের করা হয়।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভুষন রায় জানান, পিচ্চি মজিদই মূলত এই গ্রুপটিতে লিড দিয়েছে। তার নেতৃত্বে মৌলভীবাজার ও সিলেটের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আর আমরা যে কয়জনকে গ্রেপ্তার করেছি সবার নামেই একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কুলাউড়ার আশ্রয়গ্রামে ডাকাতির ঘটনায় তারাই ৭/৮ জন ছিল। তবে তাদের গ্রুপে কতজন লোক আছে কিংবা কোথায় কোথায় তারা ডাকাতি করে এসব জানার চেষ্ঠা করছি আমরা। এজন্য আদালতে আসামিদের রিমান্ডে আনার জন্য চেয়েছি। তবে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি।