২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেলা পরিষদ নির্বাচনে কুমিল্লায় বিজয়ী হলেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।

গতকাল সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই ফল ঘোষণা করেন।

বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় চেয়ারম্যান ও ৬ সদস্য প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ায় সে সব আসনে ভোট গ্রহনের প্রয়োজন হয়নি, তাদেরকে আগেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। যে সব ওয়ার্ডে নির্বাচন হয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রাপ্ত ভোটসহ ফলাফল ঘোষণা করেন।

বেসরকারি ফলাফলে কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচনের বিস্তারিত ফলাফল হলো, সাধারণ সদস্য (পুরুষ)-

১ নম্বর ওয়ার্ডে (মেঘনা): কাইয়ুম হোসেন -তালা- ৪১ ভোট, আবুল কালাম- বৈদ্যুতিক পাখা- ৩১ ভোট, এমরান হোসেন- হাতি- ২৭ ভোট।

২ নম্বর ওয়ার্ডে (তিতাস): দেলোয়ার হোসেন পলাশ- তালা-৬৪ ভোট, সাজ্জাদ হোসেন- হাতি- ৫২ ভোট, আরিফুর রহমান- টিউবওয়েল- ১ ভোট।

৩ নম্বর ওয়ার্ডে (দাউদকান্দি) – বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় – নাসিম ইউসুফ।

৪ নম্বর ওয়ার্ডে (হোমনা): মুকবুল হোসোন পাঠান- হাতি- ৭৬ ভোট, কাউসার আহমেদ- তালা- ৫৫ ভোট।

৫ নম্বর ওয়ার্ডে (মুরাদনগর): মনিরুল আলম দিপু-পাখা- ২৬৮ ভোট, এবিএম আমিরুল ইসলাম- টিউবওয়েল- ৫ ভোট, মোঃ শাহ আলম – ঘুড়ি- ০৩ ভোট, হাবিবুল্লাহ- তালা- ০৮ ভোট।

৬ নম্বর ওয়ার্ডে (দেবিদ্বার): বাবুল হোসেন রাজু – হাতি- ১৪০ ভোট, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সরকার- ৫৩ ভোট, আবুল বাশার মোঃ ইয়াহিয়া সরকার- টিউবওয়েল-০৩ ভোট।

৭ নম্বর ওয়ার্ডে (চান্দিনা): বজলুর রহমান- হাতি- ৮৯ জন, মোঃ সেলিম মিয়া- অটোরিকশা-০৭ ভোট, মোঃ জালাল উদ্দিন – তালা- ০৮ ভোট, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম- টিউবওয়েল-১৫ ভোট, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সরকার- উটপাখি-১ ভোট, মোঃ মিজানুর রহমান- বক – ৮ ভোট।

৮ নম্বর ওয়ার্ডে (বরুড়া): মোঃ জসিম উদ্দিন- হাতি- ১১৫ ভোট, মোঃ আখতারুজ্জামান- ঘুড়ি- ৯২ ভোট।

৯ নম্বর ওয়ার্ডে (আদর্শ সদর) বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় – আবদুল্লা আল মাহমুদ সহিদ,

১০ নম্বর ওয়ার্ডে (বুড়িচং): মশিউর রহমান খান- টিউবওয়েল- ৬৫ ভোট, ডা. এম এ কাদের খান- তালা- ০৩ ভোট, তারেক হায়দার -হাতি- ২৮ ভোট, মিজানুর রহমান- ঘুড়ি- ২০ভোট, মোহন মিয়া- অটোরিকশা- ০৩ ভোট, মোঃ রবিউল আলম- ক্রিকেটব্যাট-০ ভোট,

১১ নম্বর ওয়ার্ডে (বি-পাড়া): মোঃ সাইফুল ইসলাম- হাতি- ৪৭ ভোট, সুলতান আহমদ- তালা-৪৩ ভোট, আমানত খান- অটোরিকশা-১৬ ভোট।

১২ নম্বর ওয়ার্ডে (মনোহরগঞ্জ) বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় – মো. আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী।

১৩ নম্বর ওয়ার্ডে (লাকসাম) বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় -মো. হাবিবুর রহমান মজুমদার।

১৪ নম্বর ওয়ার্ডে (লালমাই): আমির হোসেন -তালা- ৪৭ ভোট, মোঃ বিল্লাল হোসেন- ঘুড়ি- ৪৬ ভোট, মোঃ আমির হোসেন- টিউবওয়েল- ২৫ ভোট।

১৫ নম্বর ওয়ার্ডে (নাঙ্গলকোট) ঃ মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকী – ঢোল- ১৫৯ ভোট, একেএম বাহাউদ্দিন কোরাইশি- উটপাখি- ০১ ভোট, মোস্তফা আজাদ- হাতি- ০২ ভোট, মোঃ তৌহিদুর রহমান – তালা- ৩৫ ভোট, মোঃ আবুল খায়ের – টিউবওয়েল- ২৪ ভোট।

১৬ নম্বর ওয়ার্ডে (সদর দক্ষিণ) বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় আবদুর রহিম।

১৭ নম্বর ওয়ার্ডে (চৌদ্দগ্রাম): এমরানুল হক কামাল- টিউবওয়েল- ৫৯ ভোট, মোঃ মহিবুল আলম মজুমদার – বক- ৫৮ ভোট, ডিজএম জাহিদ হোসেন টিপু- তালা- ৭ ভোট, সায়িদ আহমেদ- অটোরিকশা- ২১ ভোট, মোঃ জাফর আহমেদ- পাখা- ৩৩ ভোট, মোঃ আবুল কালাম আজাদ ভুইয়া- হাতি- ০১ ভোট।

সংরক্ষিত ওয়ার্ড- (নারী)

সংরক্ষিত ১ নম্বর ওয়ার্ডে (মেঘনা তিতাস দাউদকান্দি): জেবুন নেসা জেবু – দোয়াত কলম- ১৮৭ ভোট, নুরুন্নাহার- ফুটবল- ১২৭ ভোট, পারুল আক্তার – হরিণ- ১১১ ভোট, রোখসানা আক্তার- মাইক- ৫ ভোট।

সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ডে (হোমনা মুরাদনগর): মোসাম্মদ মমতাজ বেগম- দোয়াত কলম- ২৫৬ ভোট, আফজালুন্নেছা বাসিত- হরিণ- ৯৩ ভোট, সরকার সেলিনা রহমান- বই- ৬৩ ভোট, সুরাইয়া বেগম- ফুটবল -০২ ভোট।

সংরক্ষিত ৩ নম্বর ওয়ার্ডে (দেবিদ্ধার চান্দিনা বরুড়া): শিরিন সুলতানা – ফুটবল- ২৩৮ ভোট, মোসাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস- টেবিল ঘড়ি- ১৩৪ ভোট, সাকুরা জিনাত- দোয়াত কলম- ৬৮ ভোট, শাহিনুর বেগম- হরিণ- ৪২ ভোট, হাসিনা বেগম নিশি- মাইক- ০৭ ভোট।

সংরক্ষিত ৪ নম্বর ওয়ার্ডে (আদর্শ সদর বুড়িচং বি-পাড়া): ফাহমিদা জেবিন – দোয়াত কলম- ১৮৫ ভোট, লাভলী আক্তার- ফুটবল- ১৫৯ ভোট।

সংরক্ষিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডে (লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও লালমাই) – বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় -তানজিনা আক্তার।

সংরক্ষিত ৬ নম্বর ওয়ার্ডে (সদর দক্ষিন চৌদ্দগ্রাম): মোসাম্মদ নাসরিন আক্তার- টেবিল ঘড়ি- ৩০৫ ভোট, রহিমা আক্তার- ফুটবল- ১৮২ ভোট।

এদিকে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু (বিনা ভোট) নির্বাচিত হয়েছেন।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টি ওয়ার্ডে এবং ৬টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ১২টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৪৭ জন এবং পাঁচটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৮ জন প্রতিদন্ধিতা করেন। মোট ভোটার ছিলো ২৬৮০ জন।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!