২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাবুনগরীর জানাজায় অসংখ্য মানুষ

নিউজ ডেস্ক।।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় হেফাজতের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে দেখতে ভিড় করেছেন হেফাজত নেতাকর্মীসহ অসংখ্য মানুষ। পরে তারা জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসা প্রাঙ্গণে বাবুনগরীকে দাফন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাত পৌনে ৯টার দিকে হাটহাজারী মাদরাসায় আনা হয় বাবুনগরীর মরদেহ। এর আগে মরদেহটি তার গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরিবারের সদস্যদের দেখিয়ে রাতে হাটহাজারী মাদ্রাসায় আনা হয়।

এসময়, অনেক দূর থেকেও নেতা-কর্মীরা আসেন জুনায়েদ বাবুনগরীকে শেষ বারের মতো দেখতে। পরে জানাজায় অংশ নিতে হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় ভিড় করেন তারা। বাবুনগরীকে শেষ বিদায় জানাতে রাত ৯টার পরই হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা লোকে পরিপূর্ণ হয়ে যায়।

অধিকসংখ্যক মানুষ যাতে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে পারে তাই মাদ্রাসার আশপাশে মাইক লাগানো হয়েছিল।

এর আগে কথা ছিল, জানাজা শেষে জুনায়েদ বাবুনগরীর মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়ির বাবুনগর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই তার দাফন সম্পন্ন করা হবে। কিন্তু তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়ি না নিয়ে মাদরাসা প্রাঙ্গনে দাফন করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির মহাসচিব নুরুল ইসলাম।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে মারা যান হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্সে চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় নিজ কক্ষে শোয়া অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন বাবুনগরী। নগরীর প্রবর্তক মোড়ে সিএসসিআর হাসপাতালে নেওয়ার পর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদরীস নদভী সাংবাদিকদের জানান, হুজুর ইন্তেকাল করেছেন। উনি আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে নিজ কক্ষে বিছানায় শোয়া অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে যান। ডাক্তার এসে অক্সিজেন দিয়ে কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার ব্যবস্থা করেন।

পরে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যাম্বুলেন্সে করে উনাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তখনও জ্ঞান ফেরেনি। হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেছেন। উনার ডায়াবেটিস বাড়তি ছিল। প্রেশার এবং হার্টের সমস্যা ছিল।

এর আগে ৬৭ বছর বয়সী বাবুনগরী গত ৮ আগস্ট হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।

প্রসঙ্গত, হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির শাহ আহমদ শফী গত বছরের ১৮ সেপ্টম্বর মারা যান। তার মৃত্যুর ১১ মাসের মাথায় চলে গেলেন প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বাবুনগরীও। আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর পর জুনায়েদ বাবুনগরী হেফাজতের আমিরের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!