কুমিল্লায় প্রকাশ্যে ব্যবসায়িকে হত্যাচেষ্টা, আসামী গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার আলেখারচরে প্রকাশ্যে ব্যবসায়িকে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টার মামলায় মোঃ সাদ্দাম (৩০) নামের এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গত ৪ মার্চ দুপুরে আলেখারচর আর. ইসলাম প্লাজার নিচে একটি দোকানের ভিতরে এ ঘটনা ঘটে।
পরবর্তীতে ভিকটিম মোঃ সাইফুল ইসলাম র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে, ১৬ মার্চ রাতে হবিগঞ্জ জেলার জিন্দাবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
ভিকটিম মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩৯) কুমিল্লার আলেখারচর এলাকার মৃত রফিকুল ইসলাম সর্দ্দারের ছেলে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সাদ্দাম পেশায় দিনমজুর এবং মাদক সেবনকারী। সে আলেখারচর এলাকার মোঃ মিজানুর রহমানের ছেলে। গ্রেফতারকালে তার কাছ থেকে একটি সুইচ গিয়ার উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
র্যাব জানায়, আলেখারচরের আর. ইসলাম প্লাজার ২য় ও তয় তলায় ব্যাংক অবস্থিত হওয়ায় সাধারণ মানুষ লেনদেনের উদ্দেশ্যে সেখানে গমন করত এবং গ্রেফতারকৃত আসামী বিভিন্ন সময় ব্যাংকে গমনকৃত ব্যক্তিদেরকে যাওয়া আসার সময় পথিমধ্যে ছুরি, সুইচ গিয়ারসহ অন্যান্য অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করত।
বিষয়টি উক্ত প্লাজার মালিক ভিকটিম মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩৯) আসামী সাদ্দামের বড় ভাই নুরুল ইসলাম রানাকে জানায়। আসামী সাদ্দাম বিষয়টি জানতে পারে এবং তার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এরই জের ধরে পরবর্তীতে সাইফুল ইসলাম প্লাজার নিচে একটি দোকানে অবস্থানকালীন সময়ে সাদ্দাম সুযোগ বুঝে ধারালো সুইচ গিয়ার দিয়ে ভিকটিমের হাতে, পিঠে, পায়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
এসময় উক্ত দোকানের কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ ঠেকাতে এলে সাদ্দাম তাদের উপরও চড়াও হয়। পরবর্তীতে ভিকটিম ও উক্ত দোকানের কর্মচারীর চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে সাদ্দাম সেখান থেকে পালিয়ে যায় এবং ভিকটিমকে উদ্ধারপূর্বক কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের চাচা বাদী হয়ে গত ৭ মার্চ কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ঘটনা পরবর্তীতে সে তৎক্ষনাত কুমিল্লা থেকে পালিয়ে তার পূর্বের কর্মস্থল সিলেট জেলার জিন্দাবাজার এলাকায় আত্মগোপনে থাকে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে সে তার পূর্ব পরিচিত একটি কাপড়ের দোকানে চাকুরী শুরু করে।
এছাড়াও সে দীর্ঘদিন যাবত ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সেবন করত এবং মাদকের অর্থ যোগাড় করার জন্য ইতিপূর্বে চাঁদাবাজি, চুরিসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যও সম্পাদন করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পূর্বে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় মাদক সংক্রান্তে ০৩ টি মামলা রয়েছে।
উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীকে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।