২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডাকাত সর্দার গ্রেফতারে লুঙ্গি পরে ওসি-এএসপির অভিযান

✒️ নিউজ ডেস্ক
সবুজ গেঞ্জি গায়ে লুঙ্গি পরে আছেন রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের পুলিশ সুপার (এএসপি) আনোয়ার হোসেন শামীম। তার ডান পাশেই আসামি, তারপর রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হারুন ও পেছনে পরিদর্শক তদন্ত মো. কায়সার হামিদ। তাদেরকে ঘিরে আছেন রাউজান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাব্বির, এসআই নাহিদ ও এসআই মাঈন উদ্দিনসহ পুলিশের একটি ফোর্স।

রোববার (২৭ জুন) গভীর রাতে রাউজান থানার কদলপুর এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ বেশে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় হত্যা ও ডাকাতি মামলার দুর্ধর্ষ আসামি মো. সেলিমকে (৩৪)। এ সময় তার কাছ থেকে একটি অস্ত্র, একটি খেলনা অস্ত্র (ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত), একটি রামদা, দুটি ছোরা ও একটি কিরিচ জব্দ করা হয়।

মো. সেলিম রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শমশের পাড়ার বাসিন্দা মৃত আমির হোসেনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, মো. সেলিম ২১ বছর ধরে নানা অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত। প্রথমে ছোটোখাটো ছিনতাই, পরে ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে কাজ করতেন। ২০১৫ সালের পর তিনি নিজেই একটি দল গঠন করে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি শুরু করেন। সেলিম হত্যা, ডাকাতি ও ঘর পোড়ানোসহ পাঁচ মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি।

তাকে দীর্ঘদিন ধরে অভিযান পরিচালনা করার পরও কোনোভাবে গ্রেফতার করা যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে তাকে গ্রেফতারের জন্য বিশেষ কৌশলের আশ্রয় নেয়া হয়। রোববার পুলিশের একটি চৌকস দল লুঙ্গি পরে করে গ্রামবাসীর ছদ্মবেশে রাউজানের কদলপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

এ বিষয়ে এএসপি আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা ডাকাতি ও হত্যা মামলার এক আসামিকে রোববার রাতে অভিনব কৌশলে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলার পরোয়ানা রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার বেশ কয়েকজন সহযোগীর নাম প্রকাশ করেছেন। তাদেরকেও গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।’

এএসপি শামীম আরও বলেন, ‘আজ (সোমবার) বিকেলে মো. সেলিমকে সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।’

আরো দেখুন
error: Content is protected !!