‘যে আত্মা বাঘের বাচ্চার মতো বলতে পারে জয় বাংলা’
নিউজ ডেস্ক।।
গর্জে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি অজস্র বাঙালির অনুপ্রেরণা। তাঁর প্রসঙ্গ আজও উঠে আসে সিনেমা থেকে সাহিত্যে। সাম্প্রতি ভারতীয় কবি সুবোধ সরকারের একটি কবিতায় ফুটে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষিতে শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রাম।
অরুণাভ রাহারায়: ডিসেম্বর মানেই বাংলাদেশ স্বাধীনতার মাস। ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মাটিতে উড়েছিল স্বাধীন পতাকা। অনেক মানুষের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা আসে।
চট্টগ্রাম থেকে খুলনা, ঢাকা থেকে পাবনায় কলরব উঠেছিল ‘জয় বাংলা’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এক হয়েছিল বাঙালি জাতি। তিনি খান সেনাদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন ‘আর দাবায় রাখতে পারবা না’। কঠোর সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ।
গর্জে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি অজস্র বাঙালির অনুপ্রেরণা। তাঁর প্রসঙ্গ আজও উঠে আসে সিনেমা থেকে সাহিত্যে। সাম্প্রতি ভারতীয় কবি সুবোধ সরকারের একটি কবিতায় ফুটে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষিতে শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রাম।
গত ২৮ অক্টোবর কবিতাটি ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবৃত্তির মধ্যে দিয়ে প্রথম ইউটিউবে রিলিজ পায়। তারপর ছড়িয়ে পড়ে দুই বাংলায়। ব্রততী পরম্পরার ইউটিউব চ্যানেলে শোনা যায় কবিতাটি। জনপ্রিয় আবৃত্তিকার ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় আবৃত্তি করেছেন সুবোধ সরকারের লেখা এই কবিতা। কবিতাটি জুড়ে তৈরি হয়েছে একটি ভিডিও, যেখানে ছবির মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগ।
কবিতাটির নাম ‘৭ ই মার্চ, ১৯৭১’। কবিতাটি প্রসঙ্গে সুবোধ সরকার হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে বলেন, “১৯৭১/৭১ সালে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেকে কবিতা লিখেছিলেন। আমি তখন স্কুলের ছাত্র।
আমি তখনও কবিতা লিখতে শুরু করিনি। আমার বাবা-মা ওপার বাংলা থেকে পালিয়ে এসেছিলেন কৃষ্ণনগরে। এর কিছুদিন পরে আমাদের উদ্বাস্তু পরিবারে এসে আশ্রয় নেয় আরেক উদ্বাস্তু পরিবার। সেটা হল আমার কাকার পরিবার। চাপে পড়ে, ভয় পেয়ে তারা পালিয়ে এসেছিলেন। এসবের মধ্যে দিয়েই আমি বড় হয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “তখন থেকেই বঙ্গবন্ধুর কথা সবার মুখে মুখে শুনেছি। তারপর আমি কবিতা লিখতে এলাম। ৩৫টা কবিতার বই লিখলাম। বহুদিন থেকেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি কবিতা লেখার ইচ্ছে ছিল আমার। ৩৫টা বই লিখলেও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমি একটাও কবিতা লিখতে পারিনি এতদিন।
এই ব্যথা আমার ভেতরে ছিল। গত ২৮ অক্টোবর যখন আমি বঙ্গবন্ধুকে ট্রিবিউট জানাতে পারলাম, তখন ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় আবৃত্তি করে রেকর্ড করলেন কবিতাটি। আমি এই কবিতায় বাংলাদেশের আত্মাকে ধরতে চেয়েছি, বঙ্গবন্ধুর লড়াইটাকে ধরতে চেয়েছি, ধরতে চেয়েছি বাঙালির ঐতিহ্যকে।”