কুসিক কাউন্সিলর সোহেল হত্যা: জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
মহানগর প্রতিনিধি।।
কুমিল্লায় কাউন্সিলর সোহেল ও তার সঙ্গীকে গুলি করে হত্যার জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়।
নগর মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে মেয়র সাক্কু বলেন, ‘কুমিল্লার ইতিহাসে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। আমরা সিটি করপোরেশনের সব কাউন্সিলরসহ নগরবাসী এক হয়েছি। আমরা খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’
মেয়র আরও বলেন, ‘যদি দ্রুত আসামিদের আইনের আওতায় নেয়া না হয় আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন খান জম্পি বলেন, ‘এমন খুনের ঘটনায় আমরা কাউন্সিলররা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের নিরাপত্তা চাই।’
৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদ বলেন, ‘আমরা যদি সঠিক বিচার না পাই, তাহলে আমরা সিটি কাউন্সিলররা সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দিব।’
২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদুর মাসুদ বলেন, ‘আমাদের সহকর্মীকে যেভাবে হত্যা করা হলো তাতে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছি। শুধু মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলাই কাল হয়েছে আমার বন্ধু সোহেলের।’
মানববন্ধন শেষে মেয়র সাক্কুর নেতৃত্বে আসামিদের গ্রেপ্তারের ও শাস্তির দাবি জানিয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।
নিজ কার্যালয়ে সোমবার বিকেল ৪টার দিকে কাউন্সিলর সোহেলসহ গুলিবিদ্ধ হন অন্তত ৬ জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল ও তার সঙ্গী হরিপদ সাহার মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম জানান, বিকেল ৪টার দিকে কাউন্সিলর সোহেল সুজানগরে তার কার্যালয়ে বসে ছিলেন।
এ সময় মুখোশ পরা ১৫ থেকে ২০ জন তাকে গুলি করে। এতে কাউন্সিলর সোহেল লুটিয়ে পড়েন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন হরিপদ সাহা, পাথুরীয়াপাড়ার মো. রিজু ও মো. জুয়েল এবং সুজানগর এলাকার সোহেল চৌধুরী ও মাজেদুল।
এ ঘটনায় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলমকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ১০-১২ জনকে। এরই মধ্যে মো. সমুন নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।