দাফনের পূর্বে দেখা গেল পুরুষাঙ্গ কাটা
নিউজ ডেস্ক।।
পঞ্চগড়ে দাফনের পূর্বে মরদেহকে গোসল করার সময় পুরুষাঙ্গ কাটা দেখা গেছে। পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরন করেছেন।
এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের শালুকপাড়া গ্রামের। রুস্তম আলী সেখানকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে।
প্রথমে মৃত্যুটি স্বাভাবিক ধরে নেন এলাকাবাসী। এগিয়েও আসেন সবাই। নির্ধারণ করেন দাফন সূচীও। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে যখন মরদেহ গোসল করাচ্ছিলেন তখন দেখা যায় তার পুরষাঙ্গ কাটা। শুরু হয় মৃত্যু নিয়ে রহস্যের গুঞ্জন।
শুক্রবার (২২ জুলাই) ভোরে মারা যান রুস্তম আলী। পুরুষাঙ্গ কাটার বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা পুলিশ খবর দেন। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
রুস্তম আলীর স্ত্রী রাহেনা বেগম সাংবাদিকদের জানান, তার স্বামী গত ৬ দিন আগে কাউকে না জানিয়েই নিজের পুরুষাঙ্গের অর্ধেক কর্তন করেন। পরে কাপড়ে রক্ত দেখে তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বিষয়টি জানান। পাঁচদিন ধরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা করানো হয়েছে।
তিনি বলেন, মান সম্মানের ভয়ে কাউকে জানানো হয়নি। স্থানীয় চিকিৎসকরা হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলছিলো, আজকে হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতিও নিয়েছি।
তবে স্থানীয়রা মৃত্যুটি রহস্যজনক দাবি করছেন। তারা বলছেন, নিজে থেকেই কেউ তার পুরুষাঙ্গ কেটে গোপণ রাখবে এটা হতেই পারেনা। তাছাড়া রুস্তম আলী সহজ সরল মানুষ ছিলেন। কোন মানসিক রোগী ছিলনা রুস্তম।
প্রতিবেশী আব্দুস সাত্তার ও জেলিমান খাতুন দাবী করেছেন আসলে তাদের পরিবারে কলহ লেগে ছিল। রুস্তমের স্ত্রী একজন ধুরন্দর মহিলা। পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়ে তাকে মারা হয়েছে বলে ধারনা করছেন। মৃত্যুর আসল রহস্য উদঘাটন করে বিচারের দাবী জানান তারা।
পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীন মোহাম্মদ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের কথাও জানান তিনি।