কুমিল্লায় প্রতিদিনই বাড়ছে চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লায় প্রতিদিনই বাড়ছে চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা, সাথে চশমা বিপণী বিতানে বেড়েছে কালো চশমার দাম। চিকিৎসকেরা বলছেন এটা ভাইরাসজনিত রোগ।
এতে ভয়ের তেমন কিছু নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চললে এ রোগ থেকে মুক্তি মেলে স্বল্প সময়েই। কনজাংটিভাইটিস (চোখ ওঠা) রোগ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মোঃ মহিউদ্দিন মুবিন।
এ ব্যপারে তিনি বলেন, ‘কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগ এ সময়ে বেশি লক্ষ করা হচ্ছে। এ রোগে আক্রান্ত রোগীর চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ ফুলে ওঠা, চোখ হালকা লাল থেকে গাঢ় লাল হওয়া, চোখে মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা অনুভব হওয়া, চোখে জ্বালাপোড়া ও চুলকানি হওয়া, শরীরে হালকা থেকে তীব্র জ্বর হওয়া এ রোগের লক্ষণগুলোর কিছু লক্ষণ।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এ সমস্যা থেকে তিন চার দিনের মধ্যেই আরোগ্য লাভ করা যায়। আক্রান্ত রোগী চোখে কালো গ্লাসের চশমা ব্যবহার করা, রোদে যথাসম্ভব কম যাওয়া, চোখে হাত না-দেওয়া, চোখ পরিষ্কার করতে নরম টিস্যু ব্যবহার করা, পুকুর বা নদীনালায় গোসল না-করা, রোগীর ব্যবহৃত তোয়ালে বা অন্যান্য জিনিসপত্র পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের থেকে আলাদা রাখা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া এবং চক্ষু চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।
এ রোগ বিষয়ে না- ঘাবড়ে গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসুন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চললে এ সমস্যা থেকে স্বল্প সময়ে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।