সালিশে যুবককে বেঁধে বেত্রাঘাত, জুতার মালা পরিয়ে ঘোরানো হলো গ্রামে
✒️ নিউজ ডেস্ক 🛑
কুষ্টিয়ার মিরপুরে পরকীয়ার অভিযোগে সালিশি বিচারে সাইফুল ইসলাম নামের এক যুবককে ৩০টি বেত্রাঘাত এবং কোমরে রশি ও গলায় জুতার মালা পরিয়ে গ্রামে ঘুরিয়ে শাস্তির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। পরে এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে ইউপি মেম্বর নওয়াব আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। সোমবার কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মালিহাদ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, মিরপুরের মালিহাদ গ্রামের এক গৃহবধূর সাথে কৃষি শ্রমিক যুবক সাইফুলের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে।
ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে মালিহাদ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর নওয়াব আলী তার বাড়ির আঙ্গিনায় সালিশ বৈঠক ডাকেন। সালিশে অভিযুক্ত সাইফুলকে তিন হাজার টাকা জরিমানা ও ৩০টি বেত্রাঘাতের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন ওই ইউপি মেম্বর।
পরে সালিশের সিদ্ধান্ত মোতাবেক উৎসুক জনতার উপস্থিতিতেই সাইফুলকে একনাগাড়ে ৩০টি বেত্রাঘাত করা হয়। এতে উপর্যুপরি বেত্রাঘাতে সাইফুল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে কোমরে রশি বেঁধে ও গলায় জুতার মালা পরিয়ে উৎসুক জনতাসহ তাকে পুরো গ্রাম ঘুরানো হয়।
এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। পরে মিরপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে সালিশের হোতা ইউপি মেম্বর নওয়াব আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
মালিহাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন জানান, মালিহাদ এলাকার গৃহবধূর (২২) সাথে যুবক সাইফুলের (২৩) পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। সালিশ সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন না। তবে সালিশে বেত্রাঘাতের ঘটনাটি তিনি পরে জেনেছেন।
মিরপুর থানার ওসি তদন্ত শুভ্র কান্তি দাস বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ইউপি মেম্বর নওয়াবসহ তিনজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। ভুক্তভোগী যুবক সাইফুল মামলা করলে জড়িতদের ওই মামলায় আসামি করা হবে বলে তিনি জানান।