কুমিল্লায় অনিয়মের দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলাম জানান, সোমবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়েকর কুমিল্লা অংশের বিভিন্ন হাইওয়ে হোটেলে তদারকি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
এ সময় বাসি খাবার বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা, অননুমোদিত উপাদান দিয়ে খাদ্য প্রস্তুত ও অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাবার সংরক্ষণ করায় পদুয়ার বাজার এলাকার হোটেল নূরজাহানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর আওতায় ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় ৫৭০ পিস বাসি টিকা কাবাব ও পোকাযুক্ত ১২ লিটার রসমালাইয়ের ঝোল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
এছাড়াও ফ্রিজে একইসাথে কাঁচা মাছ মাংসের সাথে মসলা ও রান্না করা খাবার সংরক্ষণ করা ও অনুমোদনহীন পণ্য বিক্রি করায় ছন্দু হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সেখান থেকে ৮ কেজি বাসি বাটা মসলা, ১ কৌটা হাইডোজ ও ১৪ পিচ অনুমোদনহীন রেডবুল পানীয় জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
ভোক্তা অধিকার বিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মোট দুইপ্রতিষ্ঠানকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তদারকিকৃত হোটেলগুলোতে নির্ধারিত মূল্য থেকে অতিরিক্ত মূল্য আদায় না করা এবং সেবার মূল্য তালিকা একাধিক দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর একে আজাদ, উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মনজুরুল আলম ভুইয়া এবং জেলা পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
মো: আছাদুল ইসলাম আরো জানান, একজন ভোক্তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে নগরীর ঝাউতলা এলাকার মুন হসপিটালকে সেবার মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করার অভিযোগে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শুনানীতে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় অভিযোগকারী ভোক্তাকে প্রণোদনা হিসেবে ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
ওই ভোক্তা অভিযোগ করেন, কোন মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করেই হাসপাতালটি আইসিইউ-এর বিল ভোক্তার কাছ থেকে আদায় করেছে।
পরবর্তীতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সেই অভিযোগের তদন্ত এবং শুনানী করে। শুনানীতে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় হাসপাতালটিকে জরিমানা করা হয়েছে।