শেখ হাসিনার ‘পারফেক্ট চয়েজ’
পলিটিক্যাল এডিটর
লড়াই-সংগ্রামের পথে বারবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন। গণতন্ত্রের সংগ্রামে সফল হয়েছেন। বিশাল কর্মযজ্ঞ নিয়ে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দেশকে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণে রেখে প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিকে পশ্চিমাদের কাছেও বিস্ময়কর জায়গায় নিয়ে গেছেন।
সংসদীয় গণতন্ত্রকে শক্তিশালীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পন্নই শুধু করেননি সুশাসনও নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ পথযাত্রায় ঝড়-ঝঞ্ঝা,হুমকি-ধমকি কোনোটিই টলাতে পারেনি বঙ্গবন্ধু কন্যাকে।
আকাশছোঁয়া চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা আর অগ্রগতির নতুন নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছেন। সরকারপ্রধান থেকে রাষ্ট্রনায়ক, রাষ্ট্রনায়ক থেকে বিশ্ব নেতা হিসেবে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। ইতিহাসের মহানায়ক বাবা বঙ্গবন্ধুর মতোই সামনে থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, মানবিকতা, বিচক্ষণতা আর নেতৃত্বগুণে অর্থনীতির প্রতিটি সূচকেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তো বটেই, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে তাঁর মতোন রাষ্ট্রনায়কোচিত এবং প্রাজ্ঞ নেতৃত্ব বাংলাদেশে দ্বিতীয়জন নেই। বিশ্বের সবচেয়ে সৎ সরকারপ্রধানের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মুজিব কন্যা।
রাজনীতিতেও সুস্থ ধারা নিশ্চিতের জন্য অনেক মেধাবী তারুণ্যকে রাজনীতিতে জায়গা করে দিয়েছেন। পোড় খাওয়া রাজনীতির পথ হাঁটা নেতাদের অগ্রাধিকার দিয়েছেন। মুজিবকন্যার আপত্য স্নেহের জাদুর পাশাপাশি তাঁরা নিজেদের দক্ষতা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন। রাজনীতিতে শেখ হাসিনাই যেন তাদের গড়ে তুলেছেন।
বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে একাগ্রচিত্তে কাজ করছেন। দুর্নীতিমুক্ত থেকে নিজেদের ক্লিন ইমেজের বহি:প্রকাশ ঘটিয়েছেন। আত্মঅহংকারে গা না ভাসিয়ে উল্টো আত্মসংযমের পরিচয় দিয়েছেন। জনভাষ্য পরখ করেই দেশের জনপ্রিয় এমনই ১৭ জন রাজনীতিককে বাছাই করেছেন। বলা হচ্ছে, তাঁরা হ্যাট্টিক প্রধানমন্ত্রীর ‘পারফেক্ট চয়েজ’। তাদের অতীত এবং বর্তমান কর্মযজ্ঞের সার্বিক মূল্যায়ন করেই আমাদের এই প্রতিবেদন।ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী
বাবা রফিক উল্লাহ চৌধুরী ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নির্বাচিত সভাপতি। সিএসপি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে বেছে নেন আমলা জীবন। বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁকে একান্ত সচিব পদে নিয়োগ দেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর চাকরি হারান। মা অধ্যাপক নাইয়ার সুলতানা বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সদস্য ছিলেন।
মেধাবী, স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির ড.শিরীন শারমিন চৌধুরীকে রাজনীতিতে উঠিয়ে আনেন বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজের মেয়ের মতো আদর করেন তাকে। নির্বাচনের আগে প্রতিটি ভোটে ড.শিরীন শারমিনকে নিজের মেয়ে হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তার পক্ষে রংপুর-৬ আসন থেকে ভোট চেয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবম সংসদে সংরক্ষিত আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেন ড.শিরীন শারমিনকে। পরে তাকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে দেন। আবার দেশের সংসদীয় রাজনীতির ইতিহাসে প্রথম নারী স্পিকারের গৌরবও তাঁর। টানা তৃতীয়বার দায়িত্ব পালন করছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে।
রাজনীতির চিরায়ত এবড়ো-থেবড়ো পথে ড.শিরীনের নম্রতা, সততা বা বিনয় যেমন সমকালীন রাজনীতিতে উদাহরণ। অনেকের ভাষ্যে-একজন ‘পারফেক্ট ম্যান’। নির্লোভ ও ধৈর্যশীল এই রাজনীতিক নিজের সর্বজয়ী হাসি আর কর্মযজ্ঞে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন জাতীয় সংসদ।
মুহাম্মদ ফারুক খান
গোপালগঞ্জ-১ (মকসুদপুর-কাশিয়ানী) থেকে টানা ৫ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান। সৎ ও নির্লোভ এই রাজনীতিক সফলতার সঙ্গেই এক সময় মন্ত্রী হিসেবে সামলেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়। এখন আছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবেও। তবে সবকিছু ছাপিয়ে তাঁর প্রধান পরিচয় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছোট বোন শেখ রেহানা’র ‘বিশ্বস্ত স্বজন’।
বঙ্গবন্ধুর বড় সন্তান, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শেখ কামালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন ফারুক খান। একসঙ্গে পড়াশুনা করেছেন ঢাকা কলেজে। রাজনীতিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে তিনি নিজের সুদৃঢ় অবস্থান ধরে রেখেছেন। মন্ত্রীর চেয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান বেশি জনপ্রিয় এবং কাঙ্খিত। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে রয়েছে তাঁর নিবিড় যোগাযোগ। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অবশ্যই তিনি একজন উজ্জ্বল তারকা।
ড. হাছান মাহমুদ
ছাত্রনেতা, সংগঠক, স্পষ্টবাদী, ত্যাগী, নিষ্ঠাবান-প্রতিটি শব্দই যেন বহুমুখী সম্পূরক পরিচয়ের অধিকারী ড.হাছান মাহমুদকে চেনানোর জন্য যথেষ্ট। প্রজ্ঞাবান ও বাগ্মী এই রাজনীতিক দল ও সরকারে সমান গতিতেই কাজ করছেন। করোনা সংকটে জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন, আক্রান্ত হয়ে সুস্থও হয়েছেন।
বীর চট্টলার এই সন্তান একজন ছাত্রনেতা থেকে জননেতায় রূপান্তরের এক প্রতিকৃতি। নিজের ভাষ্যে মানুষের মনে সঞ্চারিত করতে পারেন স্বপ্ন আর আশা। করোনা পরিস্থিতিতেও দলের প্রতিটি কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছিলেন সম্মুখভাগে। নিয়মিত খোঁজ খবর রেখেছেন মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদেরও।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ২০০৮ এর আওয়ামী লীগ সরকারে প্রথমে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং পরে পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এরপর তাকে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই সময়ে দেশের পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ুজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় সফলতার সঙ্গে কাজ করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হন।
আওয়ামী লীগের তৃতীয় মেয়াদে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে নিজের স্বকীয় উদ্বাবনী ও মেধার প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। ব্যতিক্রমী ও সৃজনশীলতার পাশাপাশি করোনাকালীন সময়ে অন্য পেশার মতো অসহায় হয়ে পড়া গণমাধ্যমকর্মীদেরও অভিভাবকত্বের ছায়ায় আগলে রেখেছেন। বকেয়া বিজ্ঞাপন বিল প্রদানের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সাংবাদিকদের নগদ প্রণোদনার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
পঙক্তি মিলিয়ে তাঁর কথামালা রাজনীতিতে তাকে করেছে দ্যুতিময়। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবেও নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও দক্ষতার সঙ্গেই দায়িত্ব পালন করছেন।
মো. তাজুল ইসলাম
জনমানুষের প্রতি দায়বদ্ধ থেকেই স্বীয় ব্যক্তিত্ব ও প্রতিভার আলোকচ্ছটায় নিজের মন্ত্রীত্বের প্রথম মেয়াদেই আলোকময় পথচলা স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলামের। গভীর অনুশীলন ও অধ্যয়নের ফলে রাজনীতির ভাষায় তার বক্তব্য হয়ে উঠে লক্ষ্যভেদী এবং অন্তর্ভেদী। এর মাধ্যমে মিডিয়াকেও তিনি প্রণোদিত করেছেন। জবাদিহিতার আওতায় আনতে সক্রিয় রয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে কাজের গতি এবং ফাইল নিস্পত্তির দিকে থেকে এগিয়ে এই মন্ত্রণালয়। সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে কার্যকর তদারকি এবং দুর্নীতি বন্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
স্বাধীনতার পর করোনা সঙ্কটে দেশজুড়ে সবচেয়ে বড় ত্রাণ কর্মসূচি পরিচালিত করেছেন। ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিতে কোন অনিয়ম হলেই সাহসী ও নিরপেক্ষ ভূমিকা গ্রহণ করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। জনপ্রতিনিধিরা যে দলেরই হোক না কেন অভিযুক্ত হলেই কাউকে ছাড় দেননি। সবার সঙ্গেই সমান আচরণ করেছেন। আবার ভালো কাজ করা জনপ্রতিনিধিদের প্রশংসাও করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একটি পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছে। ডা: দীপু মনি
দেশের প্রথম নারী পররাষ্ট্র মন্ত্রীর পর শিক্ষামন্ত্রী হিসেবেও মন জুড়ানো হাসি ডা: দীপু মনির মুখায়বে। বিনয়, মার্জিত রুচি, ভদ্রতা ও সৌজন্যবোধের অধিকারী ডা: দীপুর বাবা ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর। রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করে নিজ মন্ত্রণালয়ে শৃঙ্খলাও ফিরিয়ে এনেছেন।
শিক্ষা অঙ্গণের নানা সমস্যা ঠান্ডা মাথায় সমাধান করেছেন। কাজ করার তুলনায় কথা বলেন অনেক কম। লকডাউনের মধ্যেও এসএসসি পরীক্ষা রেজাল্ট প্রকাশের ব্যবস্থা করা, অনলাইনে পাঠদান, ই-স্কুলিংসহ তাঁর নানামুখী উদ্যোগ প্রশংসা কুড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থা, বিশ্বাস ও প্রত্যাশা পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও বৈরিতা ও মানসিক দূরত্ব পরিহার করে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, সহনশীল আচরণের অনুশীলনের মাধ্যমে ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে দল ও দেশের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দেওয়ার বার্তাও দিয়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের।
সাধন চন্দ্র মজুমদার
৬৯ বছর বয়সে এসেও নিজের জীবনকে ছকে বাঁধেননি খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তৃণমূল থেকে উঠে এসেছেন বলেই কী না গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবেও নিজেকে ‘নির্মোহ’ রাখতে সক্ষম হয়েছেন। সমকালীন রাজনীতিতেও একেবারেই ব্যতিক্রমী এক উদাহরণ তিনি। সফলতার সঙ্গেই খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সব প্রতিকূলতার মাঝেও দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়াদি নিশ্চিত করেছেন। ফলশ্রুতিতে কঠিন পরিস্থিতিতেও দেশকে পড়তে হয়নি খাদ্য সংকটে। উৎপাদন থেকে শুরু করে খাবার টেবিল পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে নিরাপদ খাদ্য ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে জোর গতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকালীন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ এবং মাঠ প্রশাসনের কাজে সম্পৃক্ত থেকে সহযোগিতার নির্দেশনা দেন মন্ত্রী এই মন্ত্রী। তাঁর সময়োপযোগী নানামুখী উদ্যোগের ফলেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ, করোনা মহামারি ও বন্যা মোকাবিলার পরও দেশে খাদ্যের অভাব নেই।জুনাইদ আহমেদ পলক
ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্য নায়ক, নি:শব্দে ঘটে যাওয়া আইসিটি বিপ্লবের স্থপতি ও কোটি তরুণের স্বপ্নসারথি বলা হয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে। টেকসই বিশ্বের নতুন নতুন উন্নয়ন ও প্রযুক্তি দেশের তরুণদের হাতে তুলে দিয়ে জয় দেশের অযুত তরুণের প্রাণে বুনে দিয়েছেন নতুন নতুন স্বপ্ন। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভিশন, মিশন ও তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরতে নিবিষ্টমনেই কাজ করছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি যেন সৃজনশীল, পরিপাটি এবং বাগ্মী এক রাজনীতিকেরই প্রতিচ্ছবিই। জীবন ও কর্মের প্রতিটি স্তরে সততার অনুশীলনকারী, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরের পথিকৃৎ সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় প্রযুক্তিকে মুঠোভর্তি করতে অক্লান্ত পরিশ্রমী এই প্রতিমন্ত্রী প্রযুক্তিখাতে তারুণ্যনির্ভরতাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ ভিশনের অগ্রগামী সৈনিকও এই জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রযুক্তির সুফল পৌঁছে দিয়েছেন সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়। সরকারের প্রায় ৮০ শতাংশ নাগরিক সেবা এসেছে ডিজিটাল মাধ্যমে। করোনাকালীন সময়েও পাদ প্রদীপে এসেছে আধুনিক মস্তিষ্কের পলকের নীরব কর্মযজ্ঞ।
ফরহাদ হোসেন
মহাকাব্য যুগের রাজনীতিতে মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বাবা প্রয়াত ছহিউদ্দীন বিশ্বাস। ফরহাদ হোসেন নিজেও সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগকে। একজন দক্ষ ও মেধাবী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সুনাম রয়েছে তাঁর। কাজের প্রতি তিনি শতভাগ আন্তরিক।
করোনা পরিস্থিতিতেও তিনি সদা তৎপর। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সরকারের সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রশাসনের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত প্রতিটি কর্মকর্তাকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাঠে নামাতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চিন্তা-চেতনা, মননশীলতায় ও মেধায় জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি নিবেদিত থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে দক্ষ জনপ্রশাসন গড়ে তোলার মিশনে এগিয়ে চলেছেন এই জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
শ ম রেজাউল করিম
প্রচন্ড চাপ ও প্রলোভন উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালন করতে পারেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। প্রথমবার গৃহায়ণ এবং গণপূর্ত মন্ত্রাণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে সেই মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি দমনে তাঁর কঠোর পদক্ষেপের কারণে আলোচিত হয়েছিলেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বালিশ দুর্নীতির ঘটনা তদন্ত করে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং সংবাদ সম্মেলন করে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের বিরল নজিরও স্থাপন করেছিলেন। সেবা খাতকে ভোগান্তিমুক্ত এবং সেবা সহজ করতে রাজউক’র নকশা অনুমোদনের ১৬ স্তরের ছাড়পত্রের সংস্কার করে ৪ স্তরে আনা এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নকশা অনুমোদনের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত প্রদান করেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ওঠে আসেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আলো ছড়িয়েছেন। করোনা সঙ্কটের সময় ডেইরি শিল্প, পোল্ট্রি শিল্পকে বাঁচানোর জন্য তার বিভিন্ন উদ্যোগ এবং উদ্যোগ সাড়া জাগিয়েছে। ডিম, দুধ, মৎস্য খামারিদের করোনার প্রথম ওয়েব মোকাবেলার সময় প্রণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এবার আর্থিক প্রণোদনার পরিবর্তে ভিন্নভাবে মৎস্য ও পোল্ট্রি খামারিদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় খামারিদের রক্ষায় মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম দেশজুড়ে চালু করেছেন ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র।
দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় কর্মরত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র। এসব ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে সারাদেশের খামারিরা তাদের মৎস্য ও প্রাণিজ পণ্য ন্যায্যমূল্যেই বিক্রি করছেন। মন্ত্রীর উদ্যোগে প্রান্তিক খামারিরা উপকৃত হচ্ছেন। হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন করোনায় জীবন-জীবিকা থমকে দাঁড়ানো স্বল্প আয়ের মানুষেরাও।
মির্জা আজম
দলীয় নেতা-কর্মীদের চোখে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম হলেন ‘ভোটের রাজা’। ৬ বার জামালপুর-৩ (মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৪ সালে তিনি পাট মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সফলতার সঙ্গেই পালন করেন। ওই সময় মন্ত্রনালয়টিতে একজন পূর্ণ মন্ত্রী থাকার পরও সবটুক আলো তিনি কেড়ে নিয়েছিলেন।
একটি মৃতপ্রায় মন্ত্রনালয়ে সঞ্চার করেছিলেন নতুন প্রাণশক্তির। করোনা সঙ্কটেও তাঁর নানামুখী মানবিক কর্মযজ্ঞ আলোচিত হয়েছে।
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া আওয়ামী লীগের সম্ভাবনাময় তরুণ উদীয়মান নেতা হিসেবে পরিচিত ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। আওয়ামী লীগের গত কাউন্সিল অধিবেশনে তিনি পেয়েছেন দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব। মিষ্টভাষী, হাস্যোজ্জ্বল, মেধাবী ও প্রবল যুক্তিবোধের অধিকারী বিপ্লব বড়ুয়া গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকেও অনেককে ছাপিয়ে গেছেন।
শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সৎ, মেধাবী, মার্জিত এই তরুণ রাজনীতিক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার অবিরত সংগ্রামে নিজেকে মেলে ধরেছেন। নিজের কঠোর পরিশ্রম এবং কাজ করার অদম্য মানসিকতার মাধ্যমে দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছেও তিনি আস্থার নাম।
রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক
বাবা ‘ভাটির শার্দুল’ মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। আর তিনি ‘ভাটির রত্ন’। বলা হচ্ছে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসন থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের কথা। বাবার পথ অনুসরণ করেই হাওরের মাটি-আলো-বাতাসে দিনের পর দিন পরিণত হয়েছেন। বাবার মতোই যেন বঙ্গভবনের সুরম্য প্রাসাদে মন টিকে না তাঁর। তিনি ছুটে চলেন হাওরের প্রান্তে প্রান্তে, অতি দরিদ্র, অসহায় এবং দুস্থ মানুষের দূয়ারে। করোনা সঙ্কটেও অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন উপজেলার কোন ইউনিয়নের মানুষ খাবারের কষ্টে আছেন, খোঁজ খবর নিয়ে তাদের কাছেই চাল-ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে প্রশংসিত হয়েছিলেন রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
এই প্রকৌশলীই ‘ওয়ান এন্ড অনলি’ সংসদ সদস্য যিনি সরকারপ্রধানের ঘোষণার আগেই মানবতার টানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে হাওরের অসহায় কৃষকের ধান কেটে নেওয়ার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে স্থাপন করতে পারেন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তিন উপজেলার ২৪ টি ইউনিয়নের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সেই সময় সংসদ সদস্য তৌফিক ধান কাটার জন্য উপহার দেন ১ হাজার ৭০০ কাঁচি। মহামান্যের পুত্রের এমন সক্রিয় তৎপরতায় মনোবল ফিরে আসে কৃষকের। বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পায় তাদের স্বপ্নের ফসল।
মাশরাফি বিন মর্তুজা
মাঠের তারকা মাশরাফি বিন মর্তুজা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেও একজন তারকা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। মাশরাফি প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রমাণ করছেন। তিনি শুধু বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সফল কাপ্তানই নন রাজনীতিতেও তার আগ্রহ, মেধা ও পরিশ্রম রয়েছে। তিনি সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে চলেছেন।মো. আতিকুল ইসলাম
মন থেকেই মানুষের সঙ্গে মেশার একটি বড় গুণ ছিল প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের। সেই জনতার নায়কের স্থলাভিষিক্ত হওয়া মেয়র মো.আতিকুল ইসলামও সৃজনশীল তেজোদীপ্ত কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে ক্রমশ নগরবাসীর মনে স্থায়ী আসন পেতে নিয়েছেন। গতিময়, নিরাপদ, পরিবেশ বান্ধব ও আধুনিক ঢাকা গড়ার মিশন বাস্তবায়ন করতে নিবিষ্টমনেই কাজ করে চলেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) টানা দু’বারের নির্বাচিত এই মেয়র।
প্রথম দফায় মেয়র হিসেবে নিজের ৯ মাস কঠোর অনুশীলন ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে পরবর্তী ৫ বছর সময়ের জন্য নিজেকে গড়ে তুলেছেন। করোনা সঙ্কটেও নগরীর বাসিন্দাদের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়েছেন প্রাণের মায়ায়। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বাড়ি বাড়ি ছুটতে গিয়ে একবার পা মচকে গিয়েছিল তাঁর। কিন্তু ঘরে বসে না থেকে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযানে নিজেই নেতৃত্ব দিয়েও আলোচিত ও প্রশংসিত হয়েছেন।
সংসদ অধিবেশনে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই মেয়র আতিকুল ইসলামের সেই কর্মতৎপরতার প্রশংসা করে বলেছিলেন, ‘উত্তরের মেয়র বেচারা, ঘরে ঘরে কোথায় এই ধরনের ময়লা আবর্জনা আছে কি না দেখতে গিয়ে আছাড় খেয়ে পড়ে গিয়ে তার পা টাই ভেঙে গেছে।’
শেখ ফজলে নূর তাপস
ওয়ান ইলেভেনের পর থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে রাজনীতিতে সৎ, মার্জিত, রুচিশীল এবং ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন একটি ইমেজ তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনবার ধানমন্ডি আসনে সংসদ সদস্য হওয়ার পর মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নিজের নামের প্রতি সুবিচার করছেন। আওয়ামী লীগের তরুণদের মধ্যে তাঁর বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। যিনি কাজ করে দেখাচ্ছেন যে, তরুণরাও পারে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী
প্রায় ৫২ বছরের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন তার। ছয় দফা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ সব ধরনের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বন্দর নগরী জলাবদ্ধতা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, হোল্ডিং ট্যাক্সসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সমস্যার সমাধানে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। কখনও নিজেকে জড়াননি অনৈতিক কাজে এবং সংকীর্ণ দলাদলিতে। মুখাপেক্ষী হননি অর্থবিত্ত ও কাজের জন্য। পিতা মুজিবের আদর্শকে ধারণ করে রাজনীতি করেছেন। গোটা জীবনে সততা ও নির্মোহতার জন্য জাতির জনকের কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরীকে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে বিজয় উপহার দিয়ে এখন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নগর পিতা নিজের দায়িত্ব সামাল দিচ্ছেন দক্ষ হাতেই।
স্বাভাবিকভাবে নগরীর বাসিন্দারা কাছে পাওয়ায় কাছে টেনে নিয়েছেন তাকেও। করোনা দুর্যোগেও মাঠে ছিলেন, আছেন। এই করোনায় চিকিৎসা, খাদ্যসংকট, সুরক্ষাসামগ্রীর সংকটের সময়টিতে নিজে হেঁটে হেঁটে বস্তি বস্তিতে গিয়ে, চট্টগ্রামের প্রতিটি ওয়ার্ডে খাদ্য ও সুরক্ষাসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। পাঁচ বছরে চট্টগ্রামকে আদর্শ শহরের মডেল হিসেবে দাঁড় করোর প্রাণান্তকর প্রয়াস নিয়েছেন। চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরীর দেখানো পথেই হাঁটছেন নিরন্তর। মশা নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শৃঙ্খলা ফেরাতে চেষ্টা করছেন।
যান চলাচলের জন্য উপযুক্ত সড়ক নিশ্চিত করতে প্রয়াস নিয়েছেন। দখলকৃত খাল উদ্ধারের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে শহরকে জলাবদ্ধতামুক্ত করার সুদৃঢ় অঈীকার করেছেন।
ইকরামুল হক টিটু
বিপদে সাহস খোঁজার প্রেরণাময় ও ভরসা রাখার মতোন এক জনপ্রতিনিধির নাম মো. ইকরামুল হক টিটু। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে নিয়ে বন্যা বা শীত বা করোনা দুর্যোগেও নগরীর অসহায় বাসিন্দাদের এক ‘পরীক্ষিত বন্ধু’ এই নগর পিতা। অবহেলিত, বঞ্চিত, অনুন্নত ও বৈষম্যের শিকার ব্রহ্মপুত্র নদের উপকন্ঠের এই নগরীকে আধুনিক চিন্তা-চেতনার সমন্বয়ে দৃষ্টিনন্দন ও পরিকল্পিত উন্নয়নের নগরীতে রূপ দিচ্ছেন।
সমকালীন রাজনীতিতে তরুণ রাজনীতিকদের মধ্যে সততা ও আদর্শবাদের এক প্রতিকৃতি হিসেবেও উচ্চারিত হয় তাঁর নাম।বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত পথে থেকে মানব কল্যাণের মিশনই তাকে স্থানীয় নাগরিকদের কাছে করে তুলেছে বিশ্বস্ত ও গ্রহণযোগ্য। নিভৃতে কাজ করে চলা এই কর্মবীর সাহসী মেয়র প্রগাঢ় স্নেহ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
করোনা সঙ্কটের সময় একটি ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহেই কথা বলেছিলেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র। নগরজুড়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার নাতিদীর্ঘ উপস্থাপন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মুগ্ধ হয়েছিলেন কর্মমুখর এই নগর সেবকের সম্মোহনী বক্তব্যে।
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী বিনম্র সদা হাস্যোজ্জ্বল ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইকরামুল হক টিটু দলমত নির্বিশেষে সবার কাছেই আপনজন। উদ্দীপ্ত তারুণ্যের কাছে ‘আইকন’। মেধাবী, রুচিশীল, আধুনিক ও উদার এই নগর পিতা দক্ষতার সঙ্গে নগরভবন পরিচালনার পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীদেরও আগলে রেখেছেন অপরিমেয় ভালোবাসার বাহুতে।
আধুনিক ও উন্নত ময়মনসিংহ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে নিরন্তর ছুটে চলা টিটু মেয়রের পাশাপাশি একজন ভালো সংগঠকও। উদ্যমী, মানবিক বোধসম্পন্ন এই মানুষটির জনপ্রিয়তার পারদও তাই যেন ঊর্ধ্বমুখী।
[মুজিববর্ষ উপলক্ষে কালের আলোর বিশেষ প্রকাশনা ‘৫০ বছরে বাংলাদেশ; অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক বিশেষায়িত প্রিন্ট ম্যাগাজিন থেকে নেওয়া।]