কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা জামাল হত্যা: ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলিসহ একজন গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করার ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আর বোরকা পড়ে যে তিন জন হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তাদের একজন শ্যুটার দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে আইন শৃংখলা রক্ষায় পুলিশ ও র্যাব এই দুইটি বাহিনী পাল্লা দিয়ে সাফল্য দেখিয়েছে।
তবে বোরকা পড়ে হত্যায় অংশ নেওয়া আরিফ, কালা মনির ও দেলোয়ার এই তিনজনের মধ্যে আরিফ ও কালা মনির বিদেশে পালিয়ে গেছে। এই হত্যা মামলায় এ নিয়ে মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
শ্যুটার দেলোয়ার ও সহযোগী সাদ্দামকে গ্রেপ্তার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব -১১ সিপিসি-২ এর অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত শ্যুটার দেলোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে হত্যাকান্ডে সরাসরি বোরকা পরে অংশ নেয় আরিফ, কালা মনির ও দেলোয়ার।
খুনের মিশন শেষে তারা বিভিন্ন জনের সহযোগিতায় পালিয়ে যায়। র্যাব জানায়, শ্যুটার দেলোয়ার গ্রেপ্তার হলেও বিদেশে পালিয়ে গেছে আরিফ ও কালা মনির। পালাতে সহায়তাকারী গ্রেপ্তার সাদ্দাম পেশায় কলেজ শিক্ষক।
এদিকে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান জানান, জামাল হোসেন হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো কুমিল্লার চান্দিনা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তদন্তে উঠে আসা আসামি মাজহারুল ইসলাম সৈকতকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্য মতে, দুইটি বিদেশী পিস্তল, একটি রিভলবার, ২৪ রাউন্ড গুলি এবং আসামিদের ব্যবহার করা মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ৩০ এপ্রিল রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাজারে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেনকে। এই ঘটনায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে জামালের স্ত্রী পপি আক্তার।